নাটোর অফিস॥
নাটোরের গুরুদাসপুরে দেড় বছরের দুই জমজ শিশুকে কীটনাশক জাতীয় বিষ খাওয়ানোর অভিযোগ পাওয়া গিয়েছে। উদ্দেশ্য প্রণোদিত ভাবে এই কীটনাশক খাওয়ানো হয়েছে বলে থানায় অভিযোগ করা হয়েছে। আজ সোমবার সকালে উপজেলার মশিন্দা ইউনিয়নের বিলকাঠর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ওই দুই জমজ শিশু নাফিজ হাসান (১৭ মাস) ও নাইম হাসান (১৭ মাস) ওই এলাকার মোঃ শাকিব হাসানের ছেলে। এ ঘটনায় জমজ শিশুর দাদা মোঃ হাসেনুর রহমান (৬৫) ও দাদি মমতা বেগম (৫৫) এর নামে গুরুদাসপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
জানা গেছে, ওই দুই শিশুর দাদির মৃত্যুর পর দাদা মোঃ হাসেনুর রহমান দ্বিতীয় বিয়ে করেন। এর পর থেকে শাকিব হাসানের সৎ মায়ের রোষানলে পড়েন শিশুদের মা। শুরু হয় সৎ শাশুরির নির্যাতন। গত দু’দিন আগে সৎ শাশুরির সাথে শিশুদের মায়ের ঝগড়া বাধলে শিশুদের মেরে ফেলার হুমকি দেন শাশুরি। এরই জেরে আজ সোমবার সকালে বাড়ির বাহিরে খেলা করছিল। এসময় তাদের সামনে কীটনাশক জাতীয় বিষের ছোট বালতি রেখে যান শশুর হাসেনুর রহমান। পানি ভেবে শিশুরা সেই কীটনাশক পান করে অসুস্থ হয়ে পড়লে প্রতিবেশীদের সহায়তায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপে¬ক্সের পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মোঃ মুজাহিদুল ইসলাম জানান,‘বর্তমানে শিশু দুইটি স্বাস্থ্য কমপে¬ক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছে। প্রাথমিক চিকৎসা দেওয়া হয়েছে। বর্তমানে দুইজনই সুস্থ্য রয়েছে। তবে ২৪ ঘন্টা পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে।’
জমজ দুই শিশুর বাবা শাকিব হাসান অভিযোগ করে বলেন, ‘দীর্ঘদিন পূর্বে তার মা মারা যায়। মা মারা যাওয়ার পরে বাবা নতুন করে বিয়ে করেন। তারপর থেকেই আমাদের সংসারে বিবাদ লেগেই থাকতো। বিশেষ করে আমার সৎ মা মমতা বেগম আমি, আমার স্ত্রী ও আমার সন্তানদেরকে প্রতিনিয়ত নির্যাতনের ওপর রাখেন। গত দুইদিন পূর্বে আমার সৎ মায়ের সাথে আমার স্ত্রীর ঝগড়া হয়। তখন আমার বাবা এবং সৎ মা হুমকি দিয়ে বলে যে, তোদের সন্তানদের বিষ খেয়ে মেরে ফেলবো।
গুরুদাসপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ মনোয়ারুজ্জামান বিষয়টি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়া হবে।