নাটোর অফিস॥
একাত্তরের মানবতা বিরোধী অপরাধে মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্ত পলাতক আসামি ফসিয়ার রহমানকে (৬৫) নাটোরের লালপুর থেকে গ্রেফতার করেছে র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) ।
বুধবার (২৬ জুলাই) বেলা ১২টার দিকে লালপুর উপজেলার কদিমচিলান ইউনিয়নের পানঘাটা সরদারপাড়াস্থ এলাকা থেকেতাকে গ্রেফতার করেছে র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) ।
র্যাব জানিয়েছে, গ্রেফতারকৃত ফসিয়ার রহমান যশোর জেলার বাঘারপাড়া উপজেলার ছোট খুদরা গ্রামের মৃত মনছুর আলীর ছেলে। তিনি রাজাকার বাহিনীর সদস্য ছিলেন।
সিপিসি-২, র্যাব-৫ নাটোর ক্যাম্প জানায়, সিপিসি-২, নাটোর ক্যাম্প, র্যাব-৫ এবং সিপিসি-৩, যশোর ক্যাম্প, র্যাব-৬ এর সহযোগীতায় র্যাবের নিজস্ব গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান পরিচালনা করে লালপুর উপজেলার কদিমচিলান ইউনিয়নের পানঘাটা সরদারপাড়াস্থ এলাকা হতে তাকে গ্রেফতার করা হয়। আন্তজার্তিক অপরাধ দমন ট্রাইব্যুনালে রায় ঘোষনার পর থেকে তিনি ছদ্দবেশ ধারণ করে বিভিন্ন সময়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে আত্মগোপনে ছিলেন।
র্যাব আরো জানায়, ফসিয়ার রহমানের বিরুদ্ধে ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ কালে অপহরণ, নির্যাতন, আটক, ০৬ জনকে হত্যাসহ বিভিন্ন মানবতা বিরোধী অপরাধে অভিযুক্ত ছিলেন। তিনি রাজাকার বাহিনীর সদস্য ছিলেন।
আন্তজার্তিক অপরাধ দমন ট্রাইব্যুনাল-১ এর আসামী মোঃ ফসিয়ার রহমান (৬৫)সহ যশোরের ০৪ জনের বিরুদ্ধে মানবতা বিরোধী অপরাধ প্রমানিত হয়।
গেলো ২৫শে জুন ২০২৩ ইং তারিখ আন্তজার্তিক অপরাধ দমন ট্রাইব্যুনাল-১ এর চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. শাহিনুর ইসলাম এর নেতৃত্বে ০৩ সদস্যের ট্রাইবুন্যাল আসামী মোঃ ফসিয়ার রহমান (৬৫)সহ ০৪ জনের বিরুদ্ধে মৃতুদন্ডের আদেশ প্রদান করেন। তার পর থেকে আসামী মোঃ ফসিয়ার রহমান (৬৫) ছদ্দবেশ ধারণ করে বিভিন্ন সময়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে আত্মগোপনে থাকে। পরবতীর্তে র্যাবের নিজস্ব গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে নাটোর জেলার লালপুর উপজেলার কদিমচিলান ইউনিয়নের পানঘাটা সরদারপাড়াস্থ এলাকা হতে উক্ত আসামীকে গ্রেফতার করা হয়।