নাটোর অফিস॥
পছন্দের বিয়ের পরও পড়ালেখা চালিয়ে গেছে মুমতাহিনা মৌমি। রোববার তার এসএসসি পরীক্ষা, সব প্রস্তুতির পরও শ্বশুরবাড়ির লোকজনের অসহযোগীতার কারনে পরীক্ষায় অংশ গ্রহন অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। এমন পরিস্থিতিতে মৌমি মানসিকভাবে ভেঙ্গে পড়েছেন।
নাটোরের গুরুদাসপুর পৌরসভার চাঁচকৈড় দুখাফকিরের মোড় মহল্লায় স্বামী বিপ্লব হোসেনের বাড়িতে অবস্থান করছেন। বিপ্লব ডিগ্রীতে পড়ালেখার পাশাপাশি প্রাণ কোম্পানীতে সেলসম্যান হিসেবে চাকরি করছেন।
মেয়েটির বাবা মামুন রানা জানান, তাঁর বাড়ি বগুড়া শহরের জয়পুরপাড়া মহল্লায়। তাঁর মেয়ে এবছর আলহাজ আব্দুল করিম বালিকা উচ্চবিদ্যালয় থেকে (মানবিক) পরীক্ষায় অংশ গ্রহন করার কথা। তার রোল নম্বর ৪৬৯৭৬২ রেজিষ্ট্রেশন নম্বর ২০১২৭৯৬৮২২।
মেয়েটির বাবা আরো জানান, অষ্টম শ্রেনিতে পড়ার সময় পছন্দ করে বিপ্লব হোসেনকে বিয়ে করেছিল। মেয়ের সুখের কথা ভেবে তা মেনে নিয়েছিলেন। কিন্তু বিয়ের কিছুদিন পরই বদলে যেতে থাকে তাঁর জামাতা। প্রতিকুল পরিবেশে মেয়ে পড়ালেখা চালিয়ে গেলেও জামাতা বিপ্লব ও তাঁর বাবা মায়ের অসহযোগীতার কারনে এখন পরীক্ষায় অংশ গ্রহন করতে পারছেনা।
তিনি আরো জানান, মেয়েকে পরীক্ষায় অংশ গ্রহন করানোর জন্য দুইদিন ধরে তার মেয়ের শ্বশুরবাড়িতে অবস্থান করেও মেয়েজামাতা সহ তার বাবা-মাকে বোঝাতে ব্যর্থ হয়েছেন। মেয়ের শ্বশুর-শ্বাশুরীর দাবি পড়ালেখা করিয়ে লাভ কি!
পরীক্ষার্থী মুমতাহিনা মৌমি জানায়, পরীক্ষার সব প্রস্তুতি রয়েছে তার। কিন্তু তাঁর বর ও শ্বশুর শ্বাশুরী পরীক্ষা না দেওয়ার পক্ষে রয়েছে। তাঁর বাবার সাথে যেতে দেওয়া হচ্ছেনা। মএখন উভয় সংকট ও মানসিক চাপে রয়েছে বলে জানায়।
মুমতাহিনার শ্বাশুরী বিউটি বেগম জানান, ‘ তাঁর ছেলে ৩ মাসের অন্তসত্বা জার্নির কারনে ক্ষতির আশঙ্কায় পরীক্ষা দিতে দেওয়া হচ্ছেনা, পরিবার থেকেও নিষেধ রয়েছে। গুরুদাসপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শ্রাবণী রায় বলেন ছুটিতে রয়েছেন তিনি। সহকারী কমিশনার (ভূমি) মেহেদী হাসান জানান, এলাকার বাইরে রয়েছেন তিনি। রাতে ফিরে মেয়ের বাবার সাথে কথাবলে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।