নাটোর: নাটোরের সিংড়ায় ভরণ-পোষণের অঙ্গিকার করে বৃদ্ধা মাকে নিজের বাড়িতে নিলেন রিক্সা চালক ছেলে আবু সাঈদ। সিংড়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মনিরুল ইসলাম স্থানীয় গণমাধ্যম কর্মীদের মাধ্যমে মসিরন বেওয়া নামের ওই বৃদ্ধার অসহায়ত্বের কাহিনী শুনে রোববার বৃদ্ধাকে পুলিশ নিজেদের হেফাজতে নেন। পরে বৃদ্ধার ছেলে আবু সাঈদকে থানায় ডেকে নিয়ে মুচলেকা ও অঙ্গিকার করিয়ে বৃদ্ধা মাকে তার জিম্মায় তুলে দেন।
সিংড়া থানার ওসি মনিরুল ইসলাম জানান, মসিরন বেওয়া নামে ওই বৃদ্ধার বয়স প্রায় ৮৫ বছর। বয়সের ভারে তিনি ন্যুইয়ে পড়েছেন। ছেলে ভরণ-পোষণ না করায় ওই বৃদ্ধা সিংড়া পৌর শহরের দমদমা কবরস্থানের পাশে ঝুপড়ি ঘর করে বাস করছিলেন। পাশাপাশি সেখানেই চকলেট ও বিড়ির দোকান দিয়ে জীবিকা নির্বাহ করে আসছেন দীর্ঘদিন থেকে। স্থানীয় সাংবাদিকদের মাধ্যমে খবর জানতে পেয়ে সেখানে সরেজমিন গিয়ে ঘটনার সত্যতা পান এবং বৃদ্ধাকে পুলিশ হেফাজতে আনেন। পরে ছেলে আবু সাঈদকে থানায় ডেকে এনে তার বৃদ্ধা মা মসিরন বেওয়াকে ভরণ-পোষণের জন্য মুচলেকা নেওয়া হয়। সে তার মাকে আর কষ্ট দিবেনা এবং ভরণ-পোষণের করবে বলে অঙ্গিকার করে তার বৃদ্ধা মাকে বাড়ি নিয়ে যায়।
ওসি মনিরুল বলেন, বৃদ্ধাকে এ বয়সে দোকানদারি করতে দেখে খুব খারাপ লেগেছে। তাই উদ্দ্যোগ নিয়েছি যাতে এ বয়সে একাকিত্ব নয়, সন্তানের ছায়ায় বাকি জীবন কাটাতে পারে।
সিংড়া উপজেলা রিক্সা-ভ্যান মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম বলেন, আবু সাইদ তাঁর সমিতির সদস্য। সে রিক্সা চালায়। তার মাকে সে দেখভাল করবে মর্মে স্বীকার করেছে। আমরা সিংড়া থানা পুলিশের সহায়তায় বৃদ্ধা মাকে তার হাতে তুলে দিয়েছি।
সিংড়া পৌর মেয়র জান্নাতুল ফেরদৌস জানান, ওই বৃদ্ধা বিগত দিনে তালিকায় না থাকলে সিংড়া পৌরসভা থেকে বয়স্ক ভাতার কার্ড করে দেয়া হবে।