নাটোরঃ রাজধানীর মতিঝিলে নটরডেম কলেজের ৩য় তলা থেকে নিচে ফেলে দেয়া নাটোরের বিএনপি দলীয় সাবেক সাংসদ দিল মোহাম্মদের নাতি আজমাল মাহমুদ (১৬) এখন মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছেন। সে ধানমন্ডির ল্যাব এইড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। পরিবারের অভিযোগ, এ ঘটনার সঠিক তথ্য উদঘাটনের কোন সহযোগিতাই করছে না নটরডেম কলেজ কর্তৃপক্ষ। গত ১৪ অক্টোবর সকাল ১০টার দিকে নটরডেম কলেজের ভবনে এ ঘটনা ঘটে।
আজমাল মাহমুদের পিতা শাহেদ মাহমুদ টিটু বলেন, ‘আমার ছেলে সেন্ট জোসেফের ছাত্র। গোল্ডেন এ প্লাস পাওয়া ছাত্র। কে বা কারা যেন হত্যার উদ্দেশ্যে তাকে কলেজ ভবনের তৃতীয় তলা থেকে ধাক্কা দিয়ে নিচে ফেলে দেয়। পরে খবর পেয়ে তার হাত-পা, চোয়াল ভাঙ্গা ও রড ঢুকানো অবস্থায় আমরা উদ্ধার করে ধানমন্ডির ল্যাব এইড হাসপাতালে নিয়ে যাই। বর্তমানে সেখানেই চিকিৎসাধীন।
কে বা কারা আজমালকে হত্যার চেষ্টা করে থাকতে পারে বলে আপনি মনে করেন- এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমি এখনি এ বিষয়ে কিছু বলতে পারছি না। আজমালও কথা বলতে পারছে না তাই কিছুই জানতে পারেনি।
তবে কলেজ কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে তিনি বলেন, এ বিষয়ে নটরডেম কলেজ কর্তৃপক্ষের কেউই কোনো কথা বলতে চাচ্ছে না। তারা আমাকে কোন ধরণের সহযোগিতাই করছে না। এতো বড় একটা দুর্ঘটনা হওয়ার পরও কলেজ বিষয়টি ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা করছে। তবে পুলিশ গুরুত্ব সহকারে বিষয়টি দেখছে বলে তিনি জানান।
এ ব্যাপারে নটরডেম কলেজের শিক্ষক লাল সরেন বলেন, কে বা কারা ফেলে দিয়েছে বিষয়টা জানি না।
মতিঝিল থানার ডিউটি অফিসার উপ-পরিদর্শক (এসআই) জালাল উদ্দিন জানান, আজমালের বাবা একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন। এখন আমরা বিষয়টি তদন্ত করছি। মূল ঘটনা উদঘাটন করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।