নাটোর অফিস॥
নাটোরের গুরুদাসপুর সরকারী পাইলট মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণীর শিক্ষার্থী প্রিওম সরকার (১৭) কে বিদ্যালয়ে এসে মারধর করার অভিযোগ উঠেছে পাঁচ জন যুবকের বিরুদ্ধে। মারধর শিকার হওয়া শিক্ষার্থীকে স্থানীয় উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে ভর্তি করে বিচারের দাবিতে থানায় প্রবেশ করে সহপাঠীরা। এ ঘটনায় বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বাদি হয়ে পাঁচ যুবকের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। অভিযুক্ত পাঁচ যুবক উপজেলা পৌর সদরের চাঁচকৈড় মধ্যমপাড়া মহল্লার মিলন প্রামানিকের ছেলে বিশাল প্রামানিক, একই মহল্লার নাস্তাইন, মুছা তালুকদার, তামিম হোসেন ও নাঈম হোসেন। আহত শিক্ষার্থী উত্তরনারীবাড়ি মহল্লার গোপাল সরকারের ছেলে।
আহত শিক্ষার্থী প্রিওম সরকার জানান, আনুমানিক দুই মাস পূর্বে বিশাল প্রামানিক নামের এক যুবকের ফেসবুক পোস্টে আমার এক বন্ধুকে মেনশান করে মন্তব্য করেছিলাম। মন্তব্য করার পর আমাকে অনেক হুমকি দিচ্ছিলো বিশাল প্রামানিক। পরে একদিন তার কাছে আমি ক্ষমা চেয়েছিলাম। কিন্তু আমাকে ক্ষমা না করে প্রতিদিন বিদ্যালয়ের গেটের সামনে দিয়ে ঘোরাফেরা করে আমাকে মারধর করার জন্য। রোববার আমার দশম শ্রেণীর নির্বাচনী পরীক্ষা শেষে বিকেল আনুমানিক ৪ টা বেজে ৪০ মিনিটে শ্রেণী কক্ষ থেকে বের হয়ে উত্তরপাশের গেটের দিকে যেতেই বিশাল প্রামানিকসহ ৭-৮ জন আমার ওপর অতর্কিত হামলা চালায়। কিল, ঘুষি,লাথি মারতে থাকে এলাপাথারিভাবে। পরে আমি জ্ঞ্যান হারিয়ে পরে গেলে আমার সহপাঠীরা আমাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জাহাঙ্গীর আলম জানান, অভিযুক্ত যুবকরা এর আগেও আমার বিদ্যালয়ে এসে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করেছে। বেশ কিছুদিন যাবৎ প্রিওম সরকারকে আক্রমণ করার চেষ্টা চালিয়েছে। শুনেছি তারা নাকি কিশোর গ্যাং এর সাথে জড়িত। রোববার বাড়ি ফেরার পথে আমার বিদ্যালয়ের মেধাবী শিক্ষার্থী প্রিওম সরকারকে মারধর করা হয়েছে। থানায় অভিযোগ দায়ের করেছি। আমি এর সুষ্ঠ্য বিচারের দাবি জানাই।
গুরুদাসপুর থানার অফিসার ইনচার্জ(ওসি) মোঃ আব্দুল মতিন জানান, অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।