নাটোর অফিস॥
নাটোরের গুরুদাসপুরে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর বরাদ্দ দেওয়ার কথা বলে হত দরিদ্র নারী জমেলা বেগম(৪০) এর কাছ থেকে ২০ হাজার টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে দুই ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে। এক বছর যাবৎ টাকা নিয়ে ঘর দেওয়ার কথা বলে হয়রানী করার অভিযোগও রয়েছে তাদের বিরুদ্ধে। ভুক্তভুগী নারী উপজেলার চাপিলা ইউনিয়নের মিল্কি ধানুড়া গ্রামের জয়নাল আবেদীনের মেয়ে।
জমেলা বেগম বলেন, আমার স্বামী পেশায় ভ্যানচালক। বিয়ের পর দীর্ঘ ২০ বছর যাবৎ আমার বাবার বাড়িতেই আমি বসবাস করছি। আমাদের কোন জায়গা জমি নেই। বাবার বাড়িতে ছোট্ট একটি কুড়ে ঘরেই বসবাস করে আসছি। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর আশ্রয়ণ প্রকল্পে ভূমিহীনদের ঘর বরাদ্দ দেওয়ার কথা শুনে এক বছর আগে ৭ নম্বর ওয়ার্ডের বর্তমান মেম্বর আব্দুল হান্নান ও ৮ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক মেম্বর আইয়ুব আলীর কাছে যাই। তারা দুই জন তখন আমার কাছে ৩০ হাজার টাকা দাবি করে। আমি বিভিন্ন জায়গা থেকে ঋণ করে দুই জনের কাছে ২০ হাজার টাকা প্রদান করি একটি ঘর পাওয়ার আশায়। কিন্তু এক বছর তাদের পেছনে অনেক ঘুরেছি কিন্তু টাকাও ফেরৎ দেয়নি একটি ঘরও দেয়নি। আমি বলেছি, “হয় ঘর দেন, না হয় টাকা ফেরৎ দেন”। আমি ভূমিহীন। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে আমার দাবি আমাকে যেন একটি ঘর দেয়।
ইউপি সদস্য আব্দুল হান্নান বলেন, আমি কোন টাকা নেইনি। আইয়ুব নিলে নিতে পারে। তবে সাবেক ইউপি সদস্য আইয়ুব আলী বলেন, বর্তমান মেম্বর আব্দুল হান্নানের কাছেই টাকা দিয়েছি। আমার সামনেই ওই নারী আব্দুল হান্নানের হাতে ২০ হাজার টাকা দিয়েছে। আমি কোন টাকা নেইনি।
গুরুদাসপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শ্রাবণী রায় জানান, তদন্ত করে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।