বিদ্যুতের লোডশেডিং!

নাটোর অফিস ॥
সরকারের ব্যয় সাশ্রয়ী পরিকল্পনার অংশ হিসেবে গতকাল থেকে দেশজুড়ে শুরু হয়েছে সূচি ধরে এক ঘণ্টা করে লোডশেডিং। তবে সরকারের তরফ থেকে এক ঘণ্টা করে লোডশেডিংয়ের কথা বলা হলেও নাটোরের গুরুদাসপুর সহ গ্রামাঞ্চলে সকাল ৯টা থেকে বিদ্যুতের আসা  যাওয়া শুরু হয়। অনেক এলাকায় একটানা ২ থেকে ৩ ঘন্টা লোডশেডিং করা হয়। এছাড়া বিদ্যুতের ঘন ঘন আসা যাওয়া ছিল নিত্য দিনের মত । বেশ কিছু এলাকায় ২ ঘন্টা পর পর লোড শেডিং করা হয়। ব্যয় সাশ্রয়ে সরকারের এই সিদ্ধান্ত মেনে ব্যবসায়ীরা নির্ধারিত সময়ে তাদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে বাড়ি চলে যান।
সিডিউল অনুযায়ী বিদ্যুতের লোড শেডিংয় করা হলেও নাটোরে সব শ্রেণী পেশার মানুষদের দুর্ভোগ পোহাতে হয়েছে। তবে পুর্ব ঘোষনানুযায়ী নিয়মানুযায়ী লোডশেডিং করায় অসহনীয় দুর্ভোগ থেকে কিছুটা লাঘব পেয়েছেন গ্রাহকরা। কিছু কিছু এলাকায় পুর্ব ঘোষনার বাহিরে লোড শেডিংয়ের শিকার হয়েছেন অনেকেই। লোড শেডিংয়ের কারনে গৃহিনীদের সবচেয়ে বেশী দুর্ভোগ পোহাতে হয়েছে। গুরুদাসপুরে সকাল ৯ টার দিকে লোড শেডিং করায় যারা বৈদ্যুতিক চুলায় রান্না করেন তারা সকালের নাস্তা তৈরি শেষ করতে পারেননি। এছাড়া সকালে বিদ্যুত চলে যাওয়ায় গুরুদাসপুর পৌরসভার পানি সরবরাহ বন্ধ হয়ে যায়। এতে করে পানির সংকট দেখা দেয় গুরুদাসপুর পৌরএলাকায়। উপজেলার চাচকৈড় বাজারের গৃহিনী পপি আকতার জানান, মঙ্গলবার সকালে বৈদ্যুতিক চুলায় নাস্তা তৈরি করার সময় বিদ্যুত চলে যায়। এতে করে সমস্যায় পড়তে হয়। বাজার থেকে নাস্তা কিনে এনে বাচ্চাদের দিতে হয়েছে। একই এলাকার নাজমুল হাসান জানান, গৌরসভার সরবাহকৃত পানি উত্তোলন করতে না পারায় বিষুদ্ধ পানির সংকটে পড়তে হয়েছে তার পরিবারে।
নাটোর পল্লীবিদ্যুত সমিতি-২ এর  গুরুদাসপুর জোনাল অফিসের ডিজিএম হারানর রশীদ জানান, সিডিউল অনযায়ী মঙ্গলবার দুপুর ১২ টা থেকে ১ টা পর্যন্ত গুরুদাসপুর এলাকায় লোড শেডিং করা হয়। পরবর্তীতে ঢাকা থেকে দুপুর ১ টা ২৪ মিনিট থেকে ২টা ৫০ মিনিট পর্যন্ত লোড শেডিং করে। সকালে লোড বেশী হওয়ায় কিছুটা সময় বিদ্যুত সরবরাহ বন্ধ ছিল।
এদিকে সিডিউল অনুযায়ী নেসকো কোম্পানী লিমিটেড নাটোর পৌর এলাকায় বেলা ১২ টা থেকে লোডশেডিং শুরু করে। ৮ ফিডারের মাধ্যমে শহর এলাকার ২৯০৪৭ জন গ্রাহককে দু’দফায় দুই ঘন্টা করে লোড শেডিংয়ের আওতায় রাখা হয়। দু’দফায় এক ঘন্টা করে লোডশেডিং করা হয়। সিডিউল অনুযায়ী লোড শেডিং করায় গ্রহকদের তেমন একটা দুর্ভোগ পোহাতে হয়নি।
শহরের নিচাবাজার এলাকার পরিতোশ চন্দ্র নামে এক মুদি বলেন, পুর্ব ঘোষনা অনুযায়ী দুপুর ১২ টার দিকে বিদ্যুত চলে যায়। আবার বেলা ১টা বাজার সাথে সাথে বিদ্যুত আসে। পুর্বপুস্তুতি থাকায় কোন অসুবিধা হয়নি।
তবে যে সব এলাকায় দুপুর ১২ টার দিকে বিদ্যুতের লোড শেডিং করা হয় সে সব এলাকার গৃহীনিদের অনেকেই ক্ষোভ প্রকাশ করেন। যারা বৈদ্যুতিক চুলায় রান্না করেন তারাই ক্ষুদ্ধ প্রতিক্রিয়া জানান।
নাটোর নেসকো কোম্পানী লিমিটেডের সহকারী প্রকৌশলী সুব্রত হোড় জানান, নাটোরে সিডিউল অনুযায়ী রাত ১০ টা পর্যন্ত প্রতি ফিডারে দু’দফায় দুই ঘন্টা করে লোড শেডিং করা হয়। এতে করে গ্রাহকদের বড় ধরনের কোন সমস্যায় পড়তে হয়নি।
এদিকে লালপুর উপজেলায় বেশ কিছু এলাকায় দুই ঘন্টা পর পর বিদ্যুতের লোড শেডিং করা হয়েছে বলে অভিযোগ এলাকার গ্রাহকদের। সংশ্লিষ্ট সুত্র দাবি করেছে, লালপুরে চাহিদা অনুযায়ী মেগাওয়াট কম পাওয়ায় এমনটা হয়েছে।

 

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *