নাটোর অফিস॥
নাটোরের বড়াইগ্রামে মৎস্য অধিদপ্তর ঘোষিত ৮টি অভয়াশ্রমে মাছের পরিবর্তে চাষ হচ্ছে কচুরিপানার। প্রাকৃতিক মাছের বংশ বৃদ্ধি ও সম্প্রসারণের লক্ষ্যে অভয়াশ্রম গুলো করা হয়। কিন্তু গত তিন বছরে সেখানে নতুন পোনা ছাড়া বা সংস্কার, কচুরিপানা পরিস্কার তার কিছুই করা হয়নি। তাই স্থায়ীরা এখন বলছেন মৎস্য অভয়াশ্রেমে মাছ নয় হচ্ছে কচুরিপানার চাষ।
উপজেলা মৎস্য অফিস সূত্রে জানা যায়, জোনাইল ইউনিয়নের চামটা এলাকায় কৈ-খোলা বিল দুইটি ও জোনাইলে বড়াল নদীতে দুইটি, ডাঙ্গা দ্বারীকুশিতে একটি ও মাঝগাঁও ইউনিয়নের ছাতিয়ান গাছায় বড়াল নদীতে একটি এবং পাঙ্গায়ারী দিঘিতে দুইটি সর্বমোট আটটি অভয়াশ্রম আছে। এগুলোর নামে নিয়তিম মাছের পোনা ছাড়া, সংস্কার করা, পরিস্কার করাসহ মা মাছের নিরাপদ অশ্রয় করার বিধান রয়েছে। কিন্তু বর্তমানে এর কোনটাই করা হচ্ছে না। ফলে প্রাকৃতিক মাছের চাহিদা পূরণ না হওয়ার শঙকা দেখা দিয়েছে।
শনিবার সরেজমিন কৈখোলা বিল, জোনাইল বড়াল নদী ও ছাতিয়ানগাছা অভয়াশ্রম পরিদর্শন করে দেখা যায়, সব গুলোতেই কচুরিপানায় ভরা। কোন টাতেই কোন প্রকার মাছে নেই বলে দাবী স্থায়ীদের।
চামটার মৎস্যজীবি ইব্রাহিম আলী বলেন, এটা শুধু নামেই অভয়াশ্রম। এখানে কোন সরকারি সহযোগিতা আছে বলে শুনি নাই বা দেখিও নাই।
মৎস্যজীবি আলমগীর বলেন, জোনাইলে ২০১২ সালে বড়াল নদীতে সামান্য খনন করা হয়েছে। এরপর আর কিছুই করা হয় নাই।
উপজেলা মৎস্যজীবি সমিতির সভাপতি কসলেম উদ্দীন বলেন, আগে নিয়মিতই সব কিছু করা হতো। এখন আর তেমন কিছু করা হয় না। বিশেষ করে বর্তমান হালিম স্যার আসার পরে সব কিছুই কেমন যেন হয়ে গেছে। কোন কাজ-কর্মই দেখছি না। আগে অভয়াশ্রমে সংস্কার, পরিস্কার, মাছ ছাড়া, বিভিন্ন ভাবে প্রশিক্ষণ হতো এখন তার কিছুই হয় না। কি ভাবে যে কি চলছে বুঝি না।
উপজেলা মৎস্য অফিস সূত্রে জানা যায়, এবার কৈ-খোল ও ছাতিয়ান গাছা অভয়াশ্রম সংস্কারের জন্য ২৫ হাজার করে ৫০ হাজার টাকা বরাদ্দ এসেছে। ইতিমধ্যে কৈ-খোলা বিলে সংস্কার করা হয়েছে। আর ছাতিয়ানগাছায় হবে। কিন্তু শনিবার খোজ নিয়ে জানা গেছে কৈ-খোলার বিলে কোন কাজই করা হয় নাই।
এ বিষয়ে উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা মোঃ আব্দুল হালিম অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, সব ঠিক মতোই চলছে। কোন অনিয়ম হয় নাই।