নাটোর অফিস ॥
নাটোরের বাগাতিপাড়ায় এক গৃহবধুকে নিজ বাড়িতে অটক রেখে ধর্ষনের অভিযোগে মিন্টু প্রামানিক (৩০) একজনকে আটক করেছে পুলিশ। ৯৯৯ নম্বরে কল পেয়ে পুলিশ বাগাতিপাড়া উপজেলার মিশ্রিপাড়া গ্রামে অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তারকৃত আসামীর বাড়ি থেকে ভিকটিমকে উদ্ধার করে। শনিবার বিকেলে ভিকটিম বাদি হয়ে বাগাতিপাড়ায় দুই জনের বিরুদ্ধে একটি মামলা রুজু করেছেন। গ্রেফতারকৃত মিন্টু প্রামানিক বাগাতিপাড়া উপজেলার মিশ্রিপাড়া গ্রামের হানিফ প্রামানিকের ছেলে। মামলার অপর আসামী বড়াইগ্রাম উপজেলার মাধাইমুরি গ্রামের আফছার মেম্বারের ছেলে। মোঃ শরিফ সম্পর্কে ভিকটিমের ধর্ম ভাই।
পুলিশ ও থানায় দায়েরকৃত অভিযোগ পত্রে জানা যায়, গুরুদাসপুরের প্রফেসর পাড়ার ভিকটিম গত ১২ মে (বৃহস্পতিবার) তার ধর্ম ভাই মোঃ শরিফের বাড়িতে বেড়াতে যায়। সেখানে এক রাত থাকার পর সে ও তার ভাই শরিফ পরদিন শুক্রবার বাগাতিপাড়ার দয়ারামপুরে বেড়াতে যায়। সেখানে ঘোরাঘুরি করে দুপুরের পর স্থানীয় মায়ের দোয়া নামে একটি হোটেলে খাওয়া দাওয়া করে। খাওয়া শেষে শরিফ তার ধর্ম বোন ওই ভিকটিমকে হোটেলে বসিয়ে রেখে বাহিরে যায়। কিন্তু দির্ঘ সময়েও মোঃ শরিফ হোটেলে ফিরে আসেনা। ইত্যবসরে রাত হয়ে যায়। এক সময় ধৃত আসামী মিন্টু প্রামানিক ভিকটিমের কাছে এসে গল্প করতে থাকে এবং শরিফের নম্বরে কল দেয়। কিন্তু শরিফ ফোন রিসিভ করেনা। এসময় মিন্টু প্রামানিক ওই ভিকটিমকে বলে আপনি এই রাতে বাড়ি যেতে পারবেনা। আমার বাড়িতে চলেন সেখানে রাতটুকু কাটিয়ে সকালে চলে য বেন। তার কথায় বিশ্বাস করে ভিকটিম মিন্টু প্রামানিকের বাড়িতে যায়। সেখানে যাওয়ার পর মিন্টু প্রামানিক তাকে আটকে রেখে জোরপুর্বক এবং প্রাননাশের ভয় দেখিয়ে একাধিকবার ধর্ষন করে। ভিকটিম কোন উপায়ান্তর না দেখে ৯৯৯ নম্বরে ফোন করে সহায়তা চান। এসময় মিন্টু ভিকটিমকে তার বিাড়িতে রেখে পালিয়ে যায়। এদিকে ৯৯৯ নম্বরে ফোন পাওয়ার পর রাতেই বাগাতিপাড়া থানার পুলিশ মিশ্রিপাড়া গ্রামে অভিযান চালিয়ে ভিকটিমকে মিন্টু প্রামানিকের বাড়ি থেকে উদ্ধার করে। পরে মিন্টু প্রামানিককে তার বাড়ির কাছের একটি রাস্তা থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
ভিকটিম জানান, তিনি সন্দেহ করছেন তার ধর্মভাই মোঃ শরিফ মোটা টাকার বিনিময়ে তাকে মিন্টুর কাছে বিক্রি করে দিয়ে পালিয়ে যায়।
বাগাতিপাড়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সিরাজুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, একজন মহিলা ৯৯৯ নম্বরে ফোন করে জানায় তাকে আটক করে রাখা হয়েছে। ওই ফোন পাওয়ার দুই ঘন্টার মধ্যে আসামীর বাড়ি থেকে ভিকটিমকে উদ্ধার করা হয়। এছাড়া মিশ্রিপাড়া গ্রামের একটি রাস্তা থেকে মিন্টুকে গ্রেপ্তার করা হয়। শনিবার বিকেলে তাকে আদালতে সোপর্দ করা হয়।