নাটোর অফিস ॥
বাংলাদেশ রেলওয়ের অনলাইন টিকিট গ্রহণের সেবা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন যাত্রিদের অনেকেই। বাংলাদেশ রেলওয়ের রেল সেবা ‘অ্যাপে’ঠুকলে দেখানো হয় শীততাপ নিয়ন্ত্রিত(এসি) স্নিগ্ধা “ঘ” বগির একটি আসনও ফাঁকা নেই। পাশের গ’ বগিতেও প্রায় একই অবস্থা। তবে মুল স্টেশন অতিক্রম করার পরও দেখা যায় অর্ধেক আসন ফাঁকা পড়ে আছে। গত মঙ্গলবার সন্ধ্যা থেকে আন্তনগর রংপুর এক্সপ্রেস ট্রেনের যাত্রিরা এমন ভোগান্তিতে পড়লেও এসমস্যার নেপথ্যে কি,জানাতে পারেননি সংশ্লিষ্টরা।ফলে রেলের টিকিট বিক্রির অনলাইন ব্যবস্থাপনা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন যাত্রিরা। ওই দিন ভুক্তভোগী অনেকের মধ্যে এই প্রতিবেদকও ছিলেন ।
তিনি নাটোর যাওয়ার জন্য প্রথম দফায় রংপুর এক্সপ্রেস ট্রেনের শোভন শ্রেণীর টিকিট সংগ্রহ করতে না পেরে মঙ্গলবার সন্ধ্যা থেকে বুধবার সকালের রংপুর এক্সপ্রেস ট্রেনের শীততাপ নিয়ন্ত্রিত ¯িœগ্ধা শ্রেণীর টিকিট সংগ্রহের জন্য অনলাইনে চেষ্টা করতে থাকেন। তিনিও রেলওয়ের ‘এ্যাপের’ মাধ্যমে বার বার দেখতে পান কোন টিকিট নেই। তার পরিচিতদের অনেকেই এই প্রতিবেদকের জন্য অনলাইনের মাধ্যমে রংপুর এক্সপ্রেস ট্রেনের বুধবার সকালের একটি টিকিট সংগ্রহে ব্যস্ত হয়ে ওঠেন। তারাও বার বার দেখতে পান রংপুর এক্সপ্রেস ট্রেনের স্নিগ্ধা শ্রেনীর অনলাইনের টিকিট শেষ হয়ে গেছে। এসময় কমলাপুর স্টেশন এলাকার এক যুবকের সাথে যোগাযোগ করে একটি টিকিট সংগ্রহ করা হয়। রাত্রি ৯ টার দিকে ওই যুবক অনলাইনে “ঘ” বগির একটি টিকিট সংগ্রহ করে দেন। যুবকের মাধ্যমে অনলাইনে টিকিট প্রাপ্তির বিষয়টি জানতে পেরে অনেকেই আবারও অনলাইনে ঢুকে কোন টিকিট নেই দেখতে পান। তবে টিকিট পাওয়াই স্বস্তি পান এই প্রতিবেদক। বুধবার সকাল ৯টা ১০ মিনিটের দিকে কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন থেকে যাত্রি নিয়ে গন্তব্যে রওনা হয় রংপুর এক্সপ্রেস ট্রেনটি। ট্রেনটি বিমান বন্দর স্টেশন থেকে যাত্রি ওঠানোর পর “ঘ” বগির প্রায় অর্ধেক আসন খালি পড়ে থাকে। বিষয়টি নিয়ে ট্রেনের ওই বগির যাত্রিদের মনে না প্রশ্ন দেখা দেয়। বগির অর্ধেক আসন কেন খালি পড়ে রয়েছে বিষয়টি জানার চেষ্টা করেন অনেকেই। কিন্তু সদুত্তর পাওয়া যায়নি কারও কাছে থেকে। ফলে নেপথ্যে অনিয়ম বা দুর্নীতির থাকতে পারে বলে সন্দেহ করেন কেউ কেউ।
নাটোর স্টেশন মাস্টার অশোক কুমার চক্রবর্তীর সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বগির অর্ধেক আসন খালি থাকার কোন সদুত্তর দিতে পারেননি। মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৭টার দিকে তার মাধ্যমে একটি টিকিট সংগ্রহের চেষ্টা করনে প্রতিবেদক। তিনি নিজেও অনলাইনে ঢুকে কোন টিকিট না পেয়ে দুঃখ প্রকাশ করেছিলেন।
নাটোর রেলওয়ে স্টেশনের হেড বুকিং সহকারি সাবু সাঈদ জানান, অনলাইনে অনেক আগে থেকে টিকিট বুক হয়ে যায়। ফলে টিকিট শুন্য দেখায়। তিনি জানান, ভিআইপপি যাত্রিদের জন্য ১২ ঘন্টা আগে অনলাইনের টিকিট রিলিজ করা হয়। সাভার্র সমস্যার কারনে অনেক সময় অনেকেই টিকিট সংগ্রহ করতে পারেননা। এজন্য বাংলাদেশ রেলওয়ের সেবার মান নিয়ে প্রশ্ন তুলে থাকেন।
এবিষয়ে জানতে রাজশাহীস্থ রেলওয়ের পশ্চিমাঞ্চল জোনের জিএম অসীম কুমার তালুকদারের সাথে যোগাযোগ করা হলেও তিনি কোন সদুত্বর দিতে পারেননি। তিনি বলেন,হয়ত একই সময়ে অনলাইনে ঢুকে চেষ্টা করায় টিকিট নেই দেখা যায়। এরপরও ট্রেনে আসন খালি পড়ে থাকা বা অনলাইনে টিকিট সংগ্রহ করা নিয়ে বিড়ম্বনার বিষয়টি আইটি বিশেষজ্ঞ’র মাধ্যমে জানার চেষ্টা করবেন।