নাটোর অফিস ॥
নাটোর প্রেসক্লাব ভবনের ছাদের বিল বোর্ডে অইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক এমপির পক্ষ থেকে টানানো শুভেচ্ছা ব্যানার খুলে ফেলার অভিযোগ উঠেছে জেলা যুবলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি বাশিরুর রহমান চৌধুরী এহিয়ার বিরুদ্ধে। আগামী ২০ ফেব্রুয়ারী জেলা আওয়ামী লীগরে ত্রি-র্বাষিক সম্মেলন উপলক্ষ্যে দলের কেন্দ্রিয় নেতৃবৃন্দকে নাটোরে স্বাগত জানিয়ে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতমিন্ত্রী জুনাইদ পলকের পক্ষে ব্যানারটি প্রেসক্লাব ভবনের ছাদের বিলবোর্ডে টানানো হয়। ব্যানারটি টানানোর পর তা নামিয়ে ফেলায় শুরু হয় তোলপাড়। এনিয়ে শুরু হয় নানা জল্পনা কল্পনা। স্থানীয় সংসদ সদস্য শিমুল বিরোধীরা অভিযোগের আঙ্গুল তােলেন তার দিকে। বিষয়টি নিয়ে জেলা যুবলীগ ভারপ্রাপ্ত সভাপতিকে দায়ী করে জেলা অওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারন সম্পাদক ও সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান শরিফুল ইসলাম রমজানের দেয়া বক্তব্যের ভিডিও ইন্টারনেটের মাধ্যমে ছাড়া হলে তা ভাইরাল হয়। বুধবার সকালে শহররে কানাইখালী এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এনিয়ে উত্তেজনা দেখা দিলে পরে পুলিশের মধ্যস্থতায় ব্যানারটি পুনরায় টানানো হয়।
তবে বাশিরুর রহমান খান চৌধুরী দাবি করেছেন প্রতিপক্ষরা তার সুনাম ক্ষুন্ন করতে এমন মিথ্যা অভিযোগ করে সামাজিক গণমাধ্যমে মিথ্যাচার করছেন। তিনি বলেন, বিলবোর্ডটি বিগত কয়েক বছর আগে সাবেক মেয়র এমদাদুল হক মামুনের সময় তিনি ও তার পার্টনার আজম ভাড়া নেন। এর পর থেকে বিভিন্ন কোম্পানীর কাছে চুক্তিতে ভাড়া দিয়ে থাকেন। তার পার্টনার আজম তাকে জানান, ২৭ ফেব্রুয়ারী পঞ্চম বাংলাদেশ-ভারত সাংস্কৃতিক মিলনমেলা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে আইসিটি মন্ত্রনায়নের একটি ব্যানার বিল বোর্ডে টানাবে। কিন্তু বুধবার সকালে গিয়ে দেখি যে ব্যানার টানানো হয়েছে তা জেলা আওয়ামীলীগের কাউন্সিল উপলক্ষে প্রতিমন্ত্রীর ব্যক্তিগত ব্যানার। পার্টনার আজমের কাছে জানতে চাই এই ব্যানার টানাতে তোমাকে কে বলেছে। সে উত্তর দিতে পারেনি। এরপর আমি একটি সভায় যোগ দেওয়ার জন্য সেখান থেকে চলে আসি। পরে জানতে পারি ব্যানারটি নামিয়ে ফেলা হয়েছে। অনুষ্ঠানে উপস্থিত পুলিশ সুপার আমাকে বিষয়টি অবগত করেন। আমি তাৎক্ষনিক আমার পার্টনারকে ব্যানারটি টানানোর জন্য বলি। ব্যানার নামানোর সময় আমি সেখানে উপস্থিত ছিলামনা বা কেউ আমাকে ব্যানার নামানোর জন্য নির্দেশ দেননি। আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ আনা হয়েছে।
জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান শরিফুল ইসলাম রমজান অভিযোগ করে বলেন , স্থানীয় সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামীলীগ সাধারন সম্পাদক শফিকুল ইসলাম শিমুলের নির্দেশে জেলা যুবলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি বাশিরুর রহমান খান চৌধুরী এহিয়া কয়েকজন সর্মথক হর্কাস র্মাকটে সংলগ্ন একটি ভবনরে ছাদে অবস্থতি বিলর্বোডে স্থাপতি জাতির পতিা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ কেন্দ্রিয় নেতাদের ছবি সম্বলিত তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাই আহমেদ পলকের ব্যানার নামিয়ে ফেলেন। এসময় এহিয়া নাটোর শহরে বাহিরের কোন এমপির ব্যানার লাগাতে দয়ো হবে না বলে হুঁশিয়ারি করেন। এতে দলের নেতা কর্মীদের মধ্যে ক্ষেভের সৃষ্টি হয় এবং বিপুল সংখ্যক আওয়ামী লীগ নেতা কর্মী কানাইখালী এলাকায় অবস্থান বিক্ষোভের প্রস্তুতি নেয়। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে অবস্থান নিয়ে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়। এসময় পুলশিরে উপস্থিতিতে ব্যানারটি পুনঃস্থাপন করা হয়। শরিফুল ইসলাম রমজান আরো বলেন , স্থানীয় সাংসদ শফিকুল ইসলাম শিমুলের নির্দেশে বাসিরুর রহমান খান চৌধুরী এহিয়া এই ব্যানার অপসারণ করিয়ছেনে। জুনাইদ আহমদে পলক সিংড়া আসনের সাংসদ হওয়ার পরও নাটোর শহরে কখনও কোন ব্যানার স্থাপন করেন না। সম্মলেন উপলক্ষে তিনি ব্যানার স্থাপন করার অধিকার রাখনে। ব্যানার নামিয়ে তার এ অধিকার র্খব করা হয়েছে। সাংসদ শিমুলরে লোকজন সম্মেলনের শান্তিপুর্ণ পরিবেশ বিনষ্ট করার চেষ্টা করছে।
পুিলশ সুপার লিটন কুমার সাহা বলেন, ব্যানার নামানোর ঘটনা জানার পর পুলিশের সহযোগিতায় তা আবার পুনস্থাপন করা হয়েছে। পরিস্থিতি যাতে স্বাভাবিক থাকে সে লক্ষ্যে পুলিশ সর্তক অবস্থানে রয়েছে
আইসিটি প্রতমিন্ত্রী জুনাইদ আহমদে পলক ক্ষোভ প্রকাশ করে সাংবাদিকদের বলনে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাঁকজমকর্পূণ কালচারাল মটি ও শান্তিপুর্ন সম্মলেন আয়োজনরে ব্যাপারে নর্দিশেনা দিয়েছেন। অথচ যুবলীগরে ভারপ্রাপ্ত সভাপতি বঙ্গবন্ধু ও প্রধানমন্ত্রীর ছবি সম্বলতি ব্যানার নামানোর ধৃষ্টতা দেখিয়েছেন। আইসিটি ডিভিশন চুক্তি ও ভাড়া পরিশোধ করেই ব্যানার স্থাপন করেছে। সেখানে গায়ের জোরে এই ব্যানার নামিয়ে তিনি অপরাধ করেছেন। আশা করছি জেলা আওয়ামী লীগ এই ঘটনার জন্য যুবলীগরে ভারপ্রাপ্ত সভাপতির কাছে কৈফিয়ত তলব করবে এবং সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও স্থানীয় সাংসদ শফিকুল ইসলাম শিমুল বলিন, আমি প্রতিমন্ত্রী পলকের ব্যানার নামানোর নির্দেশ দিইনি। এই অভিযোগ মিথ্যা বানোয়াট ও উদ্দেশ্য প্রণোদিত। বরং যখন শুনেছি প্রতিমন্ত্রীর ব্যানার কে বা কারা নামিয়েছে, তখনই পুলিশকে জানিয়ে তা আবার পুনঃস্থাপন করার নির্দেশ দিয়েছি। প্রয়োজনের আমার নামের ব্যানার সরিয়ে যে কেউ ব্যানার টানাতে পারেন। আমার সুনাম ক্ষুন্ন এবং শান্তিপুর্ন কাউন্সিল অনুষ্ঠানকে প্রশ্নবিদ্ধ ও বিশৃংখলা সৃষ্টির উদ্দেশ্যে এই মিথ্যাচার করা হচ্ছে।