নাটোর অফিস॥
নাটোরের গুরুদাসপুরে রনি নামে এক কিশোরের বখাটেপনার কারনে স্কুল ও কোচিং সেন্টারে এ যেতে পারছিলেন না নবম শ্রেণীর এক ছাত্রী। উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ তমাল হোসেনের দ্রুত পদক্ষেপে ও হস্তক্ষেপে নিমিষেই বদলে যায় সব কিছু। স্বাভাবিক হয়ে যায় পরিবেশ। রনি তার ভুল স্বীকার করে আর কখনও এমনটি করবেনা বলে অঙ্গিকার করে। এর আগে বৃহস্পতিবার দুপুরে নবম শ্রেণীর ওই ছাত্রী বখাটে কিশোর রনির অত্যাচারে অতিষ্ট হয়ে বাবা,দাদুসহস্বজনদের নিয়ে ছুটে যায় ইউএনও তমাল হোসেনের চেম্বারে। অভিযোগের সুরে ইউএনওকে ওই ছাত্রী বলে,সে গত তিনমাস ধরে তার স্কুল ও কোচিং সেন্টারে যেতে পারছেনা। রনি নামের এক কিশোর তাকে প্রায়ই জ্বালাতন করতো। নানাভাবে তাকে বিরুক্ত করতো। বিচার সালিশ করেও কোন প্রতিকার মেলেনা। বখাটে রনির অত্যাচারে কমাস কোচিং সেন্টারে যেতে পারেনি। বখাটের অত্যাচারে স্কুল যাওয়া বন্ধ হয়ে যাওয়ার উপক্রম হওয়ায় পরিবারের লোকজন ওই ছাত্রীকে বিয়ে দেওয়ার প্রস্তুতি নিতে থাকে। কিন্তু ছাত্রীটি লেখাপড়া করে বড় হতে চায়। এছাড়া অপ্রাপ্ত বয়সে বিয়ে করতে রাজি নয় সে। এমন অভিযোগ করে লেখাপড়া চালিয়ে যাওয়ার অদম্য স্পৃহার কথা জানায় ইউএনও মোঃ তমাল হোসেনকে। ছাত্রীর মুখে অভিযোগ শুনে ইউএনও নিজেই পুলিশ সহ ছুটে যান উপজেলার বিয়াঘাট ইউনিয়নের যোগেন্দ্রনগর গ্রামে। অভিযুক্ত রনি ও তার পরিবারের সদস্যদের ডেকে বিয়াঘাট ইউনিয়ন পরিষদ ভবনে হাজির করা হয়। অভিযুক্ত রনির বয়স কম হওয়ার কারণে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তি বর্গ নিজেরাই রনির দায়িত্ব নেন। তারা আশ্বস্ত করেন পরবর্তীতে রনি আর ওই ছাত্রীকে বিরক্ত করবেনা। বিরক্ত করলে কঠোর মাস্তি দেওয়া হবে। প্রয়োজনে আইনের হাতে তুলে দিবেন তারা। এসময় রনিও তার কৃত কর্মের জন্য অনুতপ্ত হয়ে আর কখনও এমনটি করবেনা। সে নিজেও লেখাপড়া চালিয়ে যায়ার অঙ্গিকার করে। উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ তমাল হোসেন বলেন, ওই ছেলেটির বয়স খুব কম। বখাটেপনার কারনে সে নিজেও স্কুল থেকে ঝড়ে পড়েছে। তবে সে নতুন করে লেখাপড়ায় মনোনিবেশ করবে বলে সকলের উপস্থিতিতে স্বীকার করেছে। পরবর্তীতে যেন ওই মেয়েকে আর বিরক্ত না করে সেই ব্যবস্থাও করা হয়েছে।