নাটোর: নাটোরের লালপুরে বাস-লেগুনার সংঘর্ষে ১৫ নিহতের ঘটনায় অভিযুক্ত সেই চ্যালেঞ্জার নামের বাস মালিক মঞ্জু সরকারকে আটকের পর ছেড়ে দিয়েছে বগুড়ার ডিবি পুলিশ। রোববার বিকেলে ডিবি পুলিশ মঞ্জু সরকারকে আটক করে বগুড়া সদর পুলিশ ফাঁড়িতে নেয়া হয়। সেখানে জিজ্ঞাসাবাদের পর তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়।
পাবনা-বগুড়া রুটে চলাচলকারী ‘চ্যালেঞ্জার পরিবহন’ বাসের মালিক মঞ্জু সরকার বগুড়ার উপশহর এলাকার বাসিন্দা। এর আগে ওই বাসের হেলপার (চালকের সহকারী) আব্দুস সামাদকে পলাশবাড়ি এলাকা থেকে আটক করা হয়। ওই বাসের চালক শামীম দুর্ঘটনার পর থেকে পলাতক। দুর্ঘটনায় ১৫ নিহতের ঘটনায় এই তিনজন সহ ৭ জনের বিরুদ্ধে লালপুর থানায় ৩০৪ ধারায় মামলা হয়েছে।
বগুড়া সদর পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ শেখ ফরিদ উদ্দিন জানান, মঞ্জু সরকারকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশ ফাঁড়িতে ডেকে নেওয়া হয়। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে উর্ধতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে ছেড়ে দেয়া হয়।
জিজ্ঞাসাবাদে মঞ্জু সরকার পুলিশকে জানান, পলাতক শামীম তার বাসে পাঁচ বছর চালক হিসেবে নিযুক্ত আছে। জয়পুরহাটের ক্ষেতলাল উপজেলার বাসিন্দা শামীম বগুড়া শহরের মালগ্রামে বসবাস করে। তবে দূর্ঘটনার পর থেকে তাকে পাওয়া যাচ্ছে না।
শেখ ফরিদ উদ্দিন আরও জানান,দূর্ঘটনায় চ্যালেঞ্জার পরিবহনের সহকারি আব্দুল সামাদ ওরফে কমল আহত হয়। তার পায়ের নিচে গভীর ক্ষত হয়েছে। সে বগুড়ায় একটি বেসরকারি ক্লিনিকে চিকিৎসা নিয়ে শনিবার রাতে তার ভাড়া বাড়িতে আসে। গ্রেফতার আব্দুস সামাদ ওরফে কমলকে নাটোর পাঠিয়ে দেওয়া হবে।
তবে বাস মালিক মঞ্জু সরকারকে ছেড়ে দেওয়ার কারন জানতে চাইলে উপরের নির্দেশে ছেড়ে দেয়া হয়েছে বলে পুলিশের উর্ধতন কর্মকর্তার সাথে কথা বলার পরামর্শ দিয়ে মিটিংয়ে থাকার কথা বলে ফোনের লাইন কেটে দেন।