নাটোর অফিস॥
কোনো ডিগ্রী ছাড়াই সকল রোগের বিশেষজ্ঞ তিনি। ডাক্তার না হয়েও ৩০ বছর ধরে চিকিৎসা দিয়ে আসছেন। জন্ম থেকে অমৃত্যু আবাল বৃদ্ধ বনিতা সবার চিকিৎসা করতেন তিনি। ওই ভুয়া ডাক্তারের সন্ধান পেয়ে সিপিসি-২ নাটোর ক্যাম্প র্যাব-৫ এর একটি দল নাটোরের গুরুদাসপুর পৌর সদরের চাঁচকৈড় বাজারে মঙ্গলবার রাত ৭টার দিকে অভিযান চালিয়ে তাকে আটক করে। এ ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
ভুয়া ডাক্তার একে আজাদ ওরফে এ.এস আজাদ (৬২) উপজেলার পারগুরুদাসপুর মহল্লার মৃত হাসেন আলীর ছেলে। উচ্চ মাধ্যমিক পাশ হলেও তার কোনো প্রকার ডাক্তারি সার্টিফিকেট নেই। অথচ এলাকার মানুষ তাকে রীতিমতো ডাক্তার বলেই জানেন। এলাকার অনেকেই এখনো বিশ্বাস করতে চাইছেন না একে আজাদের ডাক্তারী ডিগ্রী নেই। অপরাধ স্বীকার করায় আজাদকে ৬মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ড ও ১০হাজার টাকা জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমান আদালত।
ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনাকারী গুরুদাসপুর উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. আবু রাসেল বলেন, ডাক্তার না হয়েও সব রোগের বিশেষজ্ঞ কেউ হতে পারেন এমন প্রছন্ন প্রতারণা এর আগে দেখিনি। এধরণের অভিযান অব্যাহত থাকবে।
র্যাবের কম্পানি অধিনায়ক মেজর মো. সানরিয়া চৌধুরী ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. ফরহাদ হোসেন ওই ভুয়া ডাক্তার গ্রেপ্তার অভিযানে নেতৃত্ব দেন। এসময় ভুয়া ভিজিটিং কার্ড, ভুয়া প্যাড ও চিকিৎসাপত্র, ওষুধ ইত্যাদি মালামাল জব্দ করা হয়েছে।
জানা যায় আজাদ চাঁচকৈড়, গুরুদাসপুর, বড়াইগ্রাম, সিংড়ার বিলদহরসহ বিভিন্ন এলাকায় চেম্বার খুলে ইতিপূর্বে নানান রোগের চিকিৎসা দিয়ে আসছিলেন। তার ডিগ্রী নিয়ে সমালোচনা হওয়ায় তিনি সব গুঁটিয়ে নিজ এলাকায় চাঁচকৈড় বাজারে দালালদের সহযোগিতায় রোগী দেখতেন। এছাড়া তিনি নিজ বাড়িসহ টাঙ্গাইলের থানা পাড়ার শহীদ সোহেল হাজারী রোডে রোগী দেখতেন।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও প.প কর্মকর্তা ডা. মুজাহিদুল ইসলাম বলেন, চোরের দশ দিন দারোগার একদিন। ভুয়া ডাক্তার আজাদ কিছু স্টেরয়েড ওষুধ দিয়ে রোগীকে সাময়িক সুস্থ করলেও পরবর্তীতে ওইসব রোগীদের নানা সমস্যা দেখা দিবে।