নাটোর: নাটোরের লালপুর উপজেলার কদিমচিলান এলাকায় যাত্রীবাহী বাস ও লেগুনার সংঘর্ষে ১৫ জন নিহতের ঘটনায় বাদী মামলা করেছে পুলিশ। দুই গাড়ির মালিক ও চালকসহ ৭ জনকে আসামি করা হয়েছে। লালপুর থানার এএসআই ইউসুফ আলী বাদী হয়ে শনিবার রাতেই মামলাটি করেন। তবে তদন্তের সুবিধার জন্য আসামিদের নাম প্রকাশ করছে না পুলিশ।
গতকাল শনিবার বিকালে কদমিচিলান এলাকায় বাস ও লেগুনার সংঘর্ষে ঘটনাস্থলে ১০, হাসপাতালে নেয়ার পথে ৩ এবং অদূরে আরেকটি দূর্ঘটনায় ২ জন নিহত হন। এসব ঘটনায় আহত হন আরও অন্তত ২৯ জন।
লালপুর থানার ওসি নজরুল ইসলাম জুয়েল জানান, দুর্ঘটনায় নিহত ১৫ জনের মধ্যে ১৪ জনের মৃতদেহ পরিবারের কাছে হ¯Íান্তর করা হয়েছে। অজ্ঞাত আরেকটি মৃতদেহের ময়নাতদন্তের জন্য রবিবার সকালে নাটোর আধুনিক সদও হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে পুলিশ। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা করা হয়েছে বনপাড়া হাইওয়ে থানার ওসি জিএম শামসুন নূরকে।
এ ব্যাপারে জানতে ওসি নূর জানান, মামলায় দুটি গাড়ির মালিক ও চালকের নাম রয়েছে। তবে তদন্তের স্বার্থে কারও নাম প্রকাশ করতে অপারগতা প্রকাশ করেন তিনি। আসামিদের ধরতে পুলিশের প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। দুর্ঘটনাকবলিত গাড়ি দু’টি থানায় রাখা হয়েছে।
অপরদিকে, নাটোরের বড়াইগ্রামে সড়ক দুর্ঘটনা প্রতিরোধে জনসচেতনতামূলক সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ রোববার উপজেলার বনপাড়া পৌরসভা মার্কেট চত্বরে বড়াইগ্রাম থানা পুলিশ ও বনপাড়া পৌরসভার আয়োজনে এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন নাটোর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও নাটোর-৪ আসনের সংসদ সদস্য অধ্যাপক আব্দুল কুদ্দুস। সমাবেশে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন নাটোর-১ আসনের সংসদ সদস্য এডভোকেট আবুল কালাম আজাদ, নাটোরের জেলা প্রশাসক শাহিনা খাতুন, পুলিশ সুপার বিপ্লব বিজয় তালুকার, হাইওয়ে পুলিশের বগুড়া অঞ্চলের পুলিশ সুপার মো¯Íাফিজুর রহমান। সমাবেশ প্রধানের দায়িত্ব পালন করেন বড়াইগ্রাম উপজেলা নির্বাহী অফিসার আনোয়ার পারভেজ।
বক্তারা বলেন, সবাইকে আইন মেনে চলতে হবে। চালকদের সতর্ক হয়ে গাড়ি চালাতে হবে। নতুবা কোন দূর্ঘটনাই রোধ করা যাবে না। আর এতে প্রাণহানির ঘটনা ঘটতেই থাকবে। মহাসড়কে দূর্ঘটনা প্রতিরোধ করে শৃংখলা ফিরিয়ে আনতে ফিটনেস বিহীন ও অবৈধ মোটরযান চলাচল রোধ ও লাইসেন্স বিহীন চালকদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করার ঘোষণা দেন বক্তারা। পরে অবৈধ পরিবহন বন্ধে অভিযান শুরু হয় মহাসড়কের বিভিন্ন পয়েন্টে।