নাটোর অফিস ॥
নাটোর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭৫তম জন্মদিন উপলক্ষে জেলার প্রান্তিক জনপদে উৎসবমুখর পরিবেশে স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে বিশেষ গণটিকাদান কার্যক্রম শুরু হয়। টিকা কেন্দ্রগুলিতে ছিল উপচে পড়া ভির। টিকা গ্রহনকারীরা কাকডাকা ভোর থেকেই টিকা কেন্দ্রে এসে ভির করেন।
মঙ্গলবার সকাল সাড়ে নয়টায় নাটোর সদর উপজেলার দিঘাপতিয়া টিকাদান কেন্দ্রে গণটিকাদান কার্যক্রমের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক শামীম আহমেদ। এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন নাটোর সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোছাঃ আফরোজা খাতুন, নাটোর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ মাহবুবুর রহমান এবং স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান ওমর শরীফ চৌহান।
এসময় জেলা প্রশাসক শামীম আহমেদ বলেন, নাটোরে উৎসবমুখর পরিবেশে স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণকরে টিকাদান কার্যক্রম চলছে। সুষ্ঠুভাবে টিকাদান কার্যক্রম সম্পন্ন করতে জেলা প্রশাসনের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক এবং এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেটবৃন্দ ছাড়াও সাতটি উপজেলার উপজেলা নির্বাহী অফিসার এবং সহকারী কমিশনার (ভুমি) টিকাদান কেন্দ্র সমূহে কার্যক্রম নিবিড়ভাবে মনিটরিং করছেন। এছাড়া কেন্দ্রসমূহে একজন সরকারি কর্মকর্তা ট্যাগ অফিসার হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। এসময় তিনি পরিদর্শনকারী প্রশাসন, স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তা এবং জনপ্রতিনিধি টিকা গ্রহনে আগন্তুক ব্যক্তিদের সাথে কথা বলেন এবং টিকা প্রদানকারী স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের স্বাস্থ্য সহকারী, পরিবার কল্যাণ সহকারী এবং কেন্দ্রের স্বেচ্ছাসেবকের দায়িত্বে নিয়োজিত গ্রাম পুলিশ ও যুব রেড ক্রিসেন্ট কর্মীদের কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ করেন। তিনি কোভিড-১৯ স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ এবং সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে সকলকে উদ্বুদ্ধ করেন।
সিভিল সার্জন ডাঃ কাজী মিজানুর রহমান জানান, জেলার ৫২টি ইউনিয়নে একযোগে টিকা দেওয়া হচ্ছে। এই কর্মসুচির আওতায় প্রতিটি ইউনিয়নে দেড় হাজার করে মোট ৭৮ হাজার ব্যক্তিকে টিকা প্রদান করা হবে। প্রতিটি কেন্দ্রে প্রয়োজনীয় সংখ্যক বুথ থাকছে। বয়স্ক ব্যক্তি, নারী এবং প্রতিবন্ধীদের টিকাদানে অগ্রাধিকার প্রদানের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
দিঘাপতিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ওমর শরীফ চৌহান জানান, টিকাদান কার্যক্রমে জনসাধারণকে অবহিত করতে এলাকায় মাইকিং করা হয়েছে। ওয়ার্ড মেম্বার, গ্রাম পুলিশবৃন্দও সহায়ক ভূমিকা পালন করছেন।