নাটোর অফিস॥
নাটোরের সিংড়ায় গুগল মিটে ঘরে বসেই ক্লাস করছে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৩শ শির্ক্ষাথী। উপজেলার ২১০টি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৫ম শ্রেণির শির্ক্ষাথীরা র্স্মাট ফোন ব্যবহার করে ঘরে বসেই গুগল মিটে যুক্ত হয়ে কøাস করছে। কোভিট-১৯ পরিস্থিতিতে দীর্ঘ দিন ধরে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পাঠ দান বন্ধ থাকায় ক্ষতির মুখে পড়েছে শিক্ষা ব্যবস্থা। বিশেষ করে গ্রামাঞ্চলের প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কমলমতি শির্ক্ষাথীরা পিছিয়ে পড়েছে সবচেয়ে বেশি। এমন পরিস্থিতিতে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের নির্দেশনায় চলতি ২০২১ সালের মে মাস থেকে গুগল মিট ব্যবহার করে অনলাইন ভিত্তিক পাঠ দানের কার্যত্রম শুরু করেছে নাটোরের সিংড়া উপজেলা শিক্ষা অফিস। র্স্মাট ফোন ব্যবহার করে ঘরে বসেই গুগল মিটে যুক্ত হয়ে কøাস করছে উপজেলার ২১০টি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৫ম শ্রেণির প্রায় ৩শত শির্ক্ষাথী।
উপজেলা শিক্ষা অফিস সুত্রে জানা যায়, উপজেলার ২১০টি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ১১১৫জন শিক্ষক কর্মরত আছেন এবং তাদের গুগল মিট প্রশিক্ষনের আওতায় এনে ৮টি ক্লাষ্টারের শিক্ষকদের ৪৫ থেকে ৫০টি সাব-এ ভাগ করে গুগল মিটে প্রতিনিয়ত পাঠ দান কার্যক্রম চলমান আছে।
উপজেলার আয়েশ সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৫ম শ্রেণির শির্ক্ষাথী হুজাইফার অভিভাবক মোঃ হাফিজুর রহমান বলেন,স্কুল বন্ধ থাকায় আমার ছেলে পড়া লেখার মনযোগ হারিয়ে ফেলেছিল। গুগল মিটে নিয়মিত ক্লাস করায় এখন নিয়মিত পড়া লেখা করছেন। আমরা শিক্ষা অধিদপ্তরের এই কার্যক্রমকে স্বাগত জানাই।
পাকুড়িয়া সরকারী প্রাথমকি বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক ও নাটোর জেলা এম্বাসেডর(এটুই) সাখাওয়াত হোসেন বলেন, সিংড়া উপজেলা শিক্ষা অফিসের তত্বাবধানে এটুআই কর্তৃক অনুমোদন পেয়ে নাটোর জেলায় প্রথম ২০২০ সালের জুন মাসে চলনবিল অনলাইন স্কুল ফেসবুক পেইজ থেকে পাঠদান কার্যক্রম শুরু করা হয়। বর্তমান গুগল মিটের পাশাপাশি চলনবিল অনলাইন স্কুলও চলমান আছে।
উপজেলা শিক্ষা অফিসার মোঃ আলী আশরাফ বলেন, গুগল মিটে ৫ম শ্রেণির শির্ক্ষাথীদের পাঠ দান কার্যক্রম চলমান আছে। করোনা পরিস্থিতিতে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলতে যদি আরও দীর্ঘ সময় লাগে তাহলে পর্যায়ক্রমে ৩য় ও ৪র্থ শ্রেণির শিক্ষার্থীদেরও পাঠ দান কার্যক্রম শুরু করা হবে। পাঠদানের পাশাপাশি শিক্ষা অধিদপ্তরের নির্দেশনা মোতাবেক শির্ক্ষাথীদের হোম ওর্য়াক (বাড়ির কাজ) বিতরণ কার্যক্রম ৫ম সপ্তাহ পর্যন্ত হয়েছে। চলমান লকডাউনের বিধি নিষেধের কারনে বিতরণ কার্যক্রম শিথিল আছে। বিধি নিষেধ উঠানো হলে পুনরায় এই কার্যক্রম চলমান থাকবে।