নাটোর অফিস॥
নাটোরের গুরুদাসপুরে জামাতার বাড়িতে সন্ত্রাসী কায়দায় হামলা চালিয়ে জোর করে মেয়েকে উঠিয়ে নিয়ে যাওয়ার ঘটনায় শ্বশুরসহ ৭ জনের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ করেছেন জামাই আরিফুল ইসলাম। এসময় ভাংচুরও করা হয়েছে জামাতা আরিফুলের বাড়িতে। ঘটনাটি ঘটেছে সোমবার রাতে উপজেলার খুবজীপুর বড়পাড়া গ্রামে। এ ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। জামাই বাড়ি থেকে শ্বশুর রেজাউল করিমের বাড়ির দূরত্ব প্রায় পাচশো গজ দূরে।
অভিযোগে জানা যায়, সোমবার রাতে তারাবির নামাজের সময় মেয়ের বাবা খুবজীপুর এম.হক ডিগ্রি কলেজের লাইব্রেরীয়ান রেজাউল করিম ভাড়াটে লোকজন নিয়ে জামাই আরিফুলের বাড়িতে অতর্কিত হামলা চালান। এসময় আরিফুল ও তার স্বজনরা বাধা দিলে তাদের মারপিটসহ বাড়িঘর ভাংচুর করে মেয়ে রিমা খাতুনকে (১৮) জোর করে মাইক্রোবাসে উঠিয়ে নিয়ে যায়। এই ঘটনার পর থেকে শ্বশুর রেজাউল গা ঢাকা দিয়েছেন ।
রিমার স্বামী আরিফুল বলেন, আমি ও রিমা পরস্পরকে ভালবাসি। দরিদ্র হওয়ায় আমার সাথে বিয়ে দিচ্ছিলেন না রিমার বাবা। এক পর্যায়ে রিমা এক কাপড়ে আমার বাড়িতে চলে আসে। আমরা প্রাপ্ত বয়স্ক হওয়ায় গত ২৪ ডিসেম্বন শরিয়ত ও আইন মোতাবেক বিয়ে করে সংসার করে আসছি।
খুবজীপুর ইউপি চেয়ারম্যান মো. মনিরুল ইসলাম দোলন বলেন, আমি দুই পরিবারকে এক করার প্রস্তুতি নিচ্ছিলাম ঠিক ওই মূহুর্তে রিমার বাবা রেজাউল জামাতার বাড়িতে সন্ত্রাসী হামলা চালিয়ে মেয়েকে জোর করে তুলে নিয়ে যান। পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।
এলাকার বাসিন্দা রমজান, আলমাছ, রাজুসহ এলাকাবাসী বলেন, শুধু গরিব হওয়ায় জামাই ও তার পরিবারের লোকজনকে মারপিট করে মেয়েকে জোর করে তুলে নিয়ে যায় রেজাউল। এ ঘটনার প্রতিবাদ ও বিচার দাবি করেন তারা।
রিমার বাবা রেজাউল পরিবারসহ পলাতক থাকায় এবং তার মোবাইল ফোন বন্ধ থাকায় তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
গুরুদাসপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আব্দুর রাজ্জাক জানান, পরিবারের অমতে বিয়ে করায় মেয়েকে জামাই বাড়ি থেকে উঠিয়ে নিয়ে গেছে বাবা-মা। তবে মারপিট ও বাড়ি ভাংচুরের বিষয়ে তদন্তপূর্বক আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।