নাটোর: নাটোর সদর উপজেলার ছাতনী ইউনিয়নে ভিজিএফচাল বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। চাল বিতরণের সাথে জড়িতদের যোগসাজসে গরীব, অসহায় ও দুঃস্থদের জন্য মাথাপিছু নির্ধারিত ২০ কেজির পরিবর্তে ১৮ কেজিরও কম চাল দেয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। তবে অভিযোগ করার পর একজন সরকারী কর্মকর্তার উপস্থিতিতে চাল বিতরণ ও পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে জানিয়েছেন সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা।
জানা যায়, ভিজিএফ কর্মসূচীর আওতায় ছাতনী ইউনিয়নে দুই হাজার ৬ শ’৭৬ জন গরীব, অসহায় ও দুঃস্থ ব্যক্তিকে ২০ কেজি করে চাল প্রদানের জন্য নির্বাচিত করা হয়। সোমবার সকাল থেকে চাল বিতরণ শুরু হয়। ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, চাল বুঝে নেয়ার পর দেখা যায় মেপে দেয়া ২০ কেজি চালের ওজন ১৮ কেজিরও কম।
ছাতনী ইউনিয়নের আগদিঘা হাটপাড়া গ্রামের হেলাল কবিরাজকে ২০ কেজির বদলে ১৭ কেজি ৮৫৫ গ্রাম, ওসমান আলীকে ১৮ কেজি ৫০০ গ্রাম, আগদিঘা কাটাখালির জয়নাল আবেদিনকে ১৮ কেজি, ঘোড়াগাছি আমহাটির রশিদ গাজী ১৮ কেজি ৫০০ গ্রাম, শিবপুর গ্রামের হাবিবা বেগমকে দেয়া হয়েছে ১৮ কেজি ৩০০ গ্রাম।
প্রথমদিকে চাল নেয়া বেশ কয়েকজন ওজনে কম দেয়ার জন্য ক্ষোভ প্রকাশ করলে বিষয়টি সবার মধ্যে জানাজানি হয়। এসময় তারা বিক্ষুদ্ধ হয়ে উঠে।
এ ব্যাপারে স্থানীয় সাংবাদিকদের মাধ্যমে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে তিনি বেলা ১১টায় উপজেলা সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা স্বপ্না আক্তারকে পুরো বিতরণ ব্যবস্থা পর্যবেক্ষণের জন্য পাঠান। পরে তার উপস্থিতিতে পুনরায় বিতরণ শুরু হয়।
চাল কম দেয়ার সাথে কারা জড়িত সে প্রসঙ্গে ছাতনী ইউপি চেয়ারম্যান তোফাজ্জল হোসেন সরকারের সাথে সেলফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে তিনি সাড়া দেননি। তবে সচিব মৃদুল কুমার তলাপাত্র দাবী করেন, মাথাপিছু অন্যুন ১৯ কেজি করে চাল দিতে সিদ্ধান্ত হয়েছে।
সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জেসমিন আক্তার বানু বলেন, ‘ওজনে কম চাল দেয়ার বিষয়টি জানতে পেরে উপজেলা সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা স্বপ্না আক্তারকে পাঠিয়েছি। তিনি পুরো বিষয়টি তদারকি করছেন। যতদূর জানি, এরপর থেকে সঠিকভাবে বিতরণ চলছে।’