নাটোর অফিস ॥
নাটারের ঠাকুরলক্ষিকুল গ্রামে প্রভাবশালীরা বাড়ি ঘর ভেঙ্গে জবর দখল করায় গৃহহীন হয়ে হয়ে পড়েছেন এক বিধবা। মামলা করেও প্রতিকার মিলছে না। উপরন্তু মামলা তুলে নিতে ওই বিধবাকে প্রাননাশের হুমকি দেয়া হয়েছে। আশ্রয়হীন হয়ে পড়া রেজিয়া বেওয়া ৭৪ সালে তার ক্রয়কৃত জমিসহ বাড়ি দখলমুক্ত করার আকুতি জানিয়েছেন। মঙ্গলবার দুপুরে ঠাকুল লক্ষিকুল গ্রামে সজনদের সাথে নিয়ে করা এক সংবাদ সম্মেলন করে তিনি এই আকুতি জানিয়েছেন।
সাংবাদিক সমে¥লনে রেজিয়া বেওয়া বলেন ৭৪ সালে তিনি ঠাকুরলক্ষিকোল মৌজায় জনৈক শকুর আলী ও ময়না বিবির কাছে থেকে দশমিক ১৪ একর জমি কেনার পর বাড়ি ঘর করে বসবাস করছেন। চাকরীর কারনে তার ছেলে ঢাকায় অবস্থান করায় তিনি একাই বাড়িতে থাকতেন। এ অবস্থায় চলতি বছরের ৮ জানুয়ারী স্থানীয় প্রভাবশালী আব্দুস সামাদ ও তার সহযোগীরা বাড়িতে ঢুকে ভাংচুর করে জবর দকল করে। বাধা দিলে তারা প্রাননাশের হুমকি দিয়ে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেয়। এঘটনায় থানায় মামলা করলেও কোন প্রতিকার পাচ্ছেননা। তবে পুলিশ কয়েকদফা ঘটনাস্থলে গিয়েছে। কিন্তু পুলিশ যাওয়ার আগেই জবর দখলকারীরা গা ঢাকা দেয়। থানায় অভিযোগ দায়েরের পর পুলিশ সহ স্থানীয় বিশিষ্টজনরা জমির সীমানা নির্ধারন করে দিলেও অবৈধ জখলকারীরা সে নির্দেশ উপেক্ষা করে ঘর নির্মান অব্যাহত রেখেছে। রেজিয়া বেওয়া বলেন ,বর্তমানে তিনি আ¤্রয়হীন হয়ে মানবেতর দিন কাটাচ্ছেন। রেজিয়া বেওয়াসহ তার সজনরা জমিটি জবর দখলমুক্ত করার আকুতি জানান।
এব্যাপারে আব্দুস সামাদের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি। তবে তার সজনরা রেজিয়া বেওয়ার অভিযোগকে ভিত্তিহীন ও বানোয়াট দাবি করে জানান, তারাও জমিটি কিনেছেন