নাটোর অফিস॥
নাটোরের নলডাঙ্গা উপজেলার পিপরুল গ্রামে একটি সড়কের ধারে রক্তমাখা পলিব্যাগে ক্লিনিকের বর্জ্য পড়ে থাকতে দেখে মানুষের মুখে মুখে খুনের গুজব ছড়িয়ে পড়ে। মুহূর্তের মধ্যেই লোকজন ভিড় জমাতে থাকে। এ নিয়ে এলাকায় রীতিমত চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। তবে ঘটনাটি নিছক গুজব ছাড়া আর কিছু নয় বলে দাবী পুলিশসহ স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের । খবর পেয়ে নলডাঙ্গা থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে স্থানীয় ইউপি সদস্যের মাধ্যমে বর্জ্যগুলো অপসারণ করেন। মঙ্গলবার (০১ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ১০ টার সময় পিপরুল- দিঘাপতিয়া সড়কের কোকার বটতলা মোড়ে এ ঘটনা ঘটে। সড়কের ধারে এসব ক্লিনিকের বর্জ্য পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয় লোকজন গুঞ্জন শুরু করে। পরে মুহূর্তেই পুরো এলাকায় খুনের গুজব ছড়িয়ে পড়ে। এতে বিভিন্ন এলাকা থেকে উৎসুক মানুষ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে ভিড় জমাতে থাকে। এ অবস্থায় স্থানীয় লোকজন পুলিশে খবর দেন। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে বর্জ্যগুলো অপসারণ করেন। প্রত্যক্ষদর্শী স্থানীয় বাসিন্দা সোহেল রানা ও স্বপন হোসেন জানান, সড়কের ধারে মানুষের টুকরো টুকরো মরদেহ পড়ে আছে এমন সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে আসেন। কিন্তু বাস্তবে দেখতে পান কিছু রক্তমাখা কাপড়, স্যালাইনের ব্যাগ, সিরিঞ্জ সহ ক্লিনিকের বর্জ্য। আশপাশে প্রচন্ড গন্ধ ছড়াচ্ছিল। প্রথম দিকে বিষয়টি নিয়ে ভীতিকর পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়। পরে পরিস্থিতির অবসান হয়। অথচ লোকজন এ নিয়ে পুরোই গুজব ছড়িয়েছিল।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় এক ব্যক্তি বলেন, হয়তো কোন নারীর অবৈধ গর্ভপাত ঘটনার কারণে রক্তমাখা এসব জিনিসপত্র এই স্থানে ফেলে রেখে গেছে । কারণ আশপাশে কোনো ক্লিনিক বা হাসপাতাল নেই । প্রায় ১০থেকে ১২ কিলোমিটার দূরে জেলা শহরে ক্লিনিক ও হাসপাতাল রয়েছে। তারা কখনো এই স্থানে ফেলে রেখে যাবে না বলে তিনি দাবি করেন।
পিপরুল ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মোঃ কলিমুদ্দিন জানান, কে বা কারা গত রাতে ক্লিনিকের বর্জ্য এই স্থানে ফেলে রেখে গেছে। স্থানীয় লোকজন এসব দেখতে পেয়ে খুনের গুজব ছড়িয়েছেন। এতে এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। কারন আশেপাশে কোন ক্লিনিকেও নেই। তাই জনমনে সন্দেহের সৃষ্টি হয়। খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে গিয়ে বিষয়টি পুলিশকে জানান।
নলডাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ( ওসি) মোঃ নজরুল ইসলাম জানান, সড়কের পাশে ফেলে যাওয়া উপকরণগুলো বেসরকারী কোন ক্লিনিক্যাল বর্জ্য। সুযোগ বুঝে রাতে এই স্থানে ফেলে রেখে গেছে। রক্তমাখা পলিব্যাগে এসব দেখে মানুষের মনে সন্দেহের সৃষ্টি হয়েছিল। স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সাথে নিয়ে বিষয়টির অবসান ঘটানো হয়। এছাড়া পরিবেশ দূষণ রক্ষার্থে স্থানীয় ইউপি সদস্য ঈমান আলী মোল্লার মাধ্যমে বর্জ্য অপসারণ করা হয়। তিনি বলেন, ঘটনাটি নিছক গুজব।