নাটোর অফিস॥
কিংবদন্তি ফুটবলার ম্যারাডোনার মৃত্যুতে ভাত,মাছ না খেয়ে ৭ দিন ধরে শোক পালনরত বাগাতিপাড়ার মুদি দোকানী রুহুল আমিন সরকার বাবুর শোক ভাঙ্গালেন উপজেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারন সম্পাদক আল মামুন সরকার। দৈনিক সমকাল সহ বিভিন্ন গণমাধ্যমের মাধ্যমে রুহুল আমিন সরকার বাবুর ভাত না খেয়ে শোক পালনের খবর জানতে পেরে মঙ্গলবার দুপুরে আল মামুন সরকারের নেতৃত্বে উপজেলা ক্রীড়া সংস্থার নেতৃবৃন্দ ছুটে আসেন বাবুর ভাই বন্ধু নামের মুদি দোকানে। বাবুর তাদের জানান ,তিনি তার প্রিয় ফুটবলার দিয়াগো ম্যারাডোনার মৃত্যুতে গত বুধবার থেকে ভাত না খেয়ে শোক পালন করছেন। দোকানে ব্যানার টানানো সহ কালো পতাকা উত্তোলন করে রেখেছেন। এমনকি তিনি নিজে কালো ব্যাজ ধারন করে রয়েছেন গত বুধবার থেকে। তার প্রিয় ফুটবলার ম্যারাডোনার প্রতি শ্রদ্ধা ও শোক জানানোর জন্য ভাত, মাছ ও মাংস খাওয়া বন্ধ রেখেছেন। সাত দিন অতিবাহিত হওয়ায় ক্রীড়া সংস্থার নেতৃবৃন্দ এসময় রুহুল আমিন সরকার বাবুর মুখে খাবার তুলে দিয়ে তার শোক পালন কর্মসুচীর ইতি টানেন্।
এদিকে রুহুল আমিন সরকার বাবু শোক পালনের শেষ দিনে ম্যারাডোনার আত্মার শান্তি কামনায় ভিক্ষুকদের মাঝে খাবার বিতরণসহ স্থানীয় ক্রীড়ামোদীদের জন্য ভোজনের আয়োজন করেন। ভোজনে স্থানীয় গণমাণ্য ব্যক্তিবর্গ অংশ নেন। উপজেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারন সম্পাদক আল মামুন সরকার বলেন, ফুটবল তারকা ম্যারাডোনার মৃত্যুতে সাত দিন থেকে তিনি ভাত, মাছ ও মাংস খাওয়া বন্ধ রেখে শোক পালন করছেন এবং এসময় শুধুমাত্র শুকনা খাবার খেয়ে জীবন ধারন করছেন। মঙ্গলবার দুপুরে নিজের হাতে ভক্ত বাবুর মুখে খাবার তুলে তার শোক কর্মসূচী সমাপ্তি টেনেছেন।
স্থানীয় সমাজ সেবক তারিকুল ইসলাম টিটু বলেন, ম্যারাডোনার প্রতি নজির বিহিন ভালবাসার প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে বাবুকে আর্জেন্টিনায় নিয়ে ম্যারাডোনা সমাধিতে শ্রদ্ধা জানানোর সুযোগ করে দিতে এবং আগামীতে আর্জেন্টিনার অন্তত একটি ফুটবল ম্যাচ সরাসরি মাঠে বসে দেখার ব্যবস্থা করতে আর্জেন্টিনার সরকার ও রাষ্ট্রদুতের প্রতি অনুরোধ জানান। ব্যতিক্রমী শোক পালনকারী ভক্ত রুহুল আমিন সরকার বাবু ব্যক্তিগত জীবনে দুই সন্তানের জনক।
রুহুল আমিন সরকার বাবু আবেগাপ্লুত হয়ে বলেন, ম্যারাডোনা চিরদিন তার মতো একজন ভক্তের মাঝে বেঁচে থাকবেন।
স্থানীয়রা জানায়, স্থানীয়রা জানান, দোকানি বাবু ম্যারাডোনা ভক্ত। ১৯৮৬ সালে ফুটবল বিশ্বকাপ খেলা দেখে রুহুল আমিন সরকার বাবু ম্যারাডোনার ভক্ত হয়ে পড়েন। তিনি প্রতিটি বিশ্বকাপের সময় দোকান থেকে তার বাড়ি পর্যন্ত এক কিলোমিটার দীর্গ আর্জেন্টিনার পতাকা টানিয়ে রাখতেন। এছাড়া আর্জেন্টিনার ম্যাচের দিনে তিনি দর্শকদের জন্য বিশেষ খাবারের ব্যবস্থা করেন। ম্যারাডোনার মৃত্যুতে তিনি ভেঙে পড়েছেন।গত বুধবার তার প্রিয় ফুটবলার ম্যারাডোনার মৃত্যুতে ভাত, মাছ ও মাংস খাওয়া বন্ধ রেখে সেদিন থেকে ৭ দিনের শোক পালন করেন।