নাটোর: একাটানা কয়েক ঘন্টা টানা ও প্রবল বর্ষণে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে নাটোরের জনজীবন। মঙ্গলবার সকাল থেকে কয়েক ঘন্টার টানা বর্ষণে সড়কের বিভিন্ন স্থানে পানি জমে সৃষ্টি হয়েছে জলাবদ্ধতা। এতে করে দূর্ভোগসহ ভোগান্তিতে পড়েছে পথচারীসহ শহরবাসী।
জেলা কৃষ্ িসম্প্রসারণ অফিস সুত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার সকাল ৮টার দিকে পুর্ব দিনের বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে ১৯ সেন্টিমিটার। কিন্তু মঙ্গলবার সকাল থেকে যে গতিতে একটানা কয়েক ঘন্টা মুষলধারে যেভাবে বৃষ্টি হয়েছে তাতে বৃষ্টি পাতের পরিমান দ্বিগুণ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
মঙ্গলবার সকাল থেকে থেমে থেমে টানা বর্ষনে শহরের আলাইপুর, কানাইখালী, মীরপাড়া, হাফরাস্তা, বনবেলঘড়িয়া, উত্তর ও দক্ষিণ বড়গাছা, মাদ্রাসা মোড়, হরিশপুরের বিভিন্ন এলাকায় পানি জমে সৃষ্টি হয় জলাবদ্ধতা। শহরের মাদ্রাসা মোড় এলাকায় বৃষ্টির পানিতে সৃষ্ট কাদার কারণে নাটোর-ঢাকা মহাসড়কে দূরপাল্লার বাস ও ট্রাকসহ যানবাহন চলাচলে বিঘœ সৃষ্টি হয়। দিনের আলোতেও যানবাহনকে হেড লাইট জ্বালিয়ে চলতে হচ্ছে। কোন কোন যানবাহন দুর্ঘটনা এড়াতে সড়কের ধারে দাাঁড় করিয়ে রাখা হচ্ছে। প্রবল বর্ষণের পানি শহরের চকরামপুর এলাকায় টেলিফোন একাসচেঞ্জ কার্যালয়ের ভিতর প্রবেশ করায় জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। পানি জমে বন্ধ হয়ে গেছে সরকারী বালক উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রবেশপথ। পানিতে ডুবে গেছে বিদ্যালয় চত্বর ও মাঠ। এদিকে শহরের ছায়াবানী মোড় থেকে প্রেসক্লাব পর্যন্ত খানাখন্দে পরিপূর্ণ রাস্তাটিতও কাঁদায় পরিপূর্ণ হয়ে যান চলাচলে বিঘœ সৃষ্টি হচ্ছে। শহরের ডোবা-নালা,পুকুরসহ পানি নিষ্কাশনের ড্রেন ভরাট করে স্থাপনা নির্মান করায় বিভিন্ন এলাকা জলমগ্ন হয়ে পড়েছে।
পৌর মেয়র উমা চৌধরী জলি জানান, পৌরবাসীর ভোগান্তি তাকেও কষ্ট দেয়। সীমিত সম্পদে যতটুকু পারা যায়, তা দিয়েই পৌরবাসীর দূর্ভোগ লাঘবে সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি।