নাটোর অফিস
নাটোরে পাট খাতের উন্নয়ন, পাট ও পাট পণ্যের উৎপাদন ও অভ্যন্তরিন ব্যবহার বৃদ্ধি এবং পণ্যে পাটজাত মোড়কের বাধ্যতামুলক ব্যবহার আইন প্রয়োগ ও বাস্তবায়ন শীর্ষক উদ্বুদ্ধ করন সভা অনুষ্ঠিত হয়। এই উদ্বুদ্ধকরণ সভার আয়োজন করে যৌথভাবে জেলা প্রশাসন ও পাট অধিদপ্তর।
সোমবার প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত সভায় সভা প্রধানের দায়িত্ব পালন করেন জেলা প্রশাসক মোঃ শাহরিয়াজ। সভায় বক্তৃতা করেন সংরক্ষিত মহিলা আসন-৩৪৩ (নাটোর ও নওগাঁ) এর সংসদ সদস্য রতœা আহমেদ।স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ পরিচালক মোঃ গোলাম রাব্বি, নাটোরের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সাধারণ) নাদিম সারওয়ার, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট রহিমা খাতুন, নাটোর জজকোর্টের পিপি এডভোকেট সিরাজুল ইসলাম, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের প্রশিক্ষণ কর্মকর্তা বেলাল হোসেন, পাট অধিদপ্তরের মুখ্য পরিদর্শক মোঃ হাফিজুর রহমান, জেলা পুলিশের অপরাধ শাখার পরিদর্শক মোঃ শামীম হাসান, নাটোর জুট মিলস্ এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক শ্যাম সুন্দর আগরওয়ালা, নাটোর পাট চাষী সমিতির সভাপতি আবু হেনা মোস্তফা কামাল, একুশে টেলিভিশন ও সমকালের প্রতিনিধি নবীউর রহমান পিপলু , বাসস প্রতিনিধি ফারাজী আহম্মদ রফিক বাবন প্রমুখ।
সভায় বক্তারা বলেন, সোনালী আঁশের বাংলাদেশ বিশ্ব বাজারে চাহিদার শতকরা ৯০ শতাংশ কাঁচা পাট এবং শতকরা ৬০ শতাংশ পাটজাত পণ্য রপ্তানী করে সর্বোচ্চ পাট রপ্তানীকারক দেশ হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে। দেশের জাতীয় রপ্তানী আয়ে একক কৃষি পণ্য হিসেবে পাট খাতের অবস্থান দ্বিতীয় এবং মোট জিডিপি’র অবদান ৪.৮৬ শতাংশ। দেশের ৪০ লক্ষ জনগোষ্ঠি প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে পাট চাষের উপর নির্ভরশীল এবং মোট জনশক্তির এক-তৃতীয়াংশ বিভিন্নভাবে পাট ও পাট পণ্যের উৎপাদন, পরিবহন ও বিপনন কর্মকান্ডে জড়িত। পাট খাতের উন্নয়নে সরকার প্রজ্ঞাপন জারি করে ইতোমধ্যে ১৯টি পণ্যে পাটজাত মোড়কের ব্যবহার বাধ্যতামূলক করেছে। বর্তমানে পাট থেকে কম্পোজিট জুট টেক্সটাইল, ভিসকস, চারকোল, গ্রীণ টি, পাটের পলিথিন ইত্যাদি উৎপাদনের মাধ্যমে পাটের বৈচিত্রকরণ এবং সমৃদ্ধি অর্জিত হয়েছে। ভবিষ্যতে এই সমৃদ্ধি অর্জন আরো জোড়দার হবে বলে বক্তারা আশা প্রকাশ করেন।