নাটোর অফিস॥
খান (৭৫)। নাটোর-পাবনা মহাসড়কে বনপাড়া পৌরসভার মধ্যে সড়কের আইল্যান্ডে বসে ভিক্ষা করা ছিল তার পেশা। বৃদ্ধ বয়সে ছেলে-মেয়েরা তার কোন প্রকার দায়িত্ব পালন করেন না। ধুলা-বালির মধ্যে বসে ভিক্ষা করতে তার ভীষন কষ্ট হয়। তাই একদিন ইউএনও বড়াইগ্রামের কার্যালয়ে গিয়ে তিনি জানান, তার ভিক্ষা বৃত্তি করতে আর ভাল লাগে না। কিন্তু ভিক্ষা না করলে তাকে না খেয়ে মরতে হবে।
অবস্থা অনুধাবন করে ইউএনও তাকে তাৎক্ষণিক কিছু আর্থিক সহায়তা দিয়ে বাড়ি পাঠিয়ে দেন। পরে বিষয়টি নিয়ে সংসদ সদস্য অধ্যাপক আব্দুল কুদ্দুসের পরামর্শ করে প্রধানমন্ত্রীর ভিক্ষুক পূর্নবাসন তহবিল থেকে একটি চার্জার ভ্যান গাড়ী কিনে দেয়ার সিদ্ধান্ত নেন। সেই ভ্যান গাড়ী চালাবেন হাসান খানের জামাতা সেকেন্দার আলী। এর বিপরিতে তিনি প্রতিদিন ২০০ টাকা দিবেন হাসান খানকে। হাসান খান মারা গেলে তার স্ত্রী পাবেন সেই টাকা। এ বিষয়ে উভয় পক্ষের মধ্যে একটি লিখিত চুক্তি করে ভ্যান গাড়ী হস্তান্তর করা হয়।
বৃহস্পতিবার সকালে উপজেলা পরিষদ চত্বরে বিতরণী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সংসদ সদস্য অধ্যাপক আব্দুল কুদ্দুস, বনপাড়া পৌর মেয়র কেএম জাকির হোসেন, উপজেলা চেয়ারম্যান ডা. সিদ্দিকুর রহমান, সমাজসেবা কর্মকর্তা সোহেল রানা, ভাইস চেয়ারম্যান আতাউর রহমান, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান সুরাইয়া কলি প্রমূখ।
এসময় সাংসদ আব্দুল কুদ্দুস বলেন, ভিক্ষাবৃত্তি বন্ধে সরকার কাজ করছে। ভিক্ষুকদের পূর্নবাসনে প্রয়োজনীয় সকল পদক্ষেপ নেয়া হবে। হাসান খানের মতো ক্রমান্বয়ে উপজেলার সকল ভিক্ষুককে পূর্নবাসন করা হবে।