নাটোর অফিস॥
নাটোরে ট্রাক ভর্তি ১৬টি গরু ছিনতাইয়ের ঘটনার মামলায় আন্তুঃজেলা ডাকাত দলের ৫ সদস্যকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। নাটোর জেলা পুলিশের অভিযানে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে তাদের গ্রেফতার করে পুলিশ। বুধবার পুলিশ সুপারের কার্যালয় চত্বরে এব প্রেস ব্রিফিংয়ে এমন তথ্য জানান পুলিশ সুপার লিটন কুমার সাহা। গ্রেফতারকৃতরা হলো বড়াইগ্রামের আহমেদপুর পশ্চিমপাড়া গ্রামের জান্টু প্রামানিকের ছেলে ফরহাদ হোসেন (২৮),কায়েমকোলা গ্রামের জামাল মন্ডলের ছেলে ফজলে রাব্বি (২৪),সদর থানার আওড়াইল গ্রামের আসাদ খাঁর ছেলে বিল্লাল হোসেন (২৪) ,কুমিল্লার দাউদকান্দি থানার তালতলি গ্রামের মৃত চাঁদ মিয়া বেপারীর ছেলে আব্দুল আওয়াল (৪০) এবং ঢাকার নবাবগঞ্জের পাড়াগ্রামের মৃত ইয়াকুব মিস্ত্রির ছেলে বাবুল মিয়া ওরফে বাবুল।
পুলিশ সুপার লিটন কুমার সাহা বলেন, ডাকাতিকালে ডাকাত দলের সদস্যরা নারায়নগঞ্জ থেকে দিনাজপুর পর্যন্ত মোট ৬বার গাড়ীর নম্বর প্লেট পরিবর্তন করে। প্রেস ব্রিফিংয়ে আরো জানানো হয়, চলতি বছরের ১৭ জুলাই নোয়াখালীর বেগমগঞ্জের একাব্বরপুর গ্রামের মৃত আবুল হোসেনের ছেলে গরু ব্যবসায়ী সিরাজ (৪২) দিনাজপুরের আমবাড়ী হাট থেকে ১৬টি গরু কিনে ট্রাকযোগে নোয়াখালী ফিরছিলেন। পথে নাটোরের বড়াইগ্রামে এলাকায় ডাকাতির কবলে পড়েন তিনি। এসময় সিরাজ ও তার রাখালকে পিটিয়ে আহত করে গরু ভর্তি ট্রাক নিয়ে পালিয়ে যায় ডাকাতরা। পরে টহলরত পুলিশের নজরে এলে পুলিশ সুপার লিটন কুমার সাহার নির্দেশনায় এবং তত্য প্রযুক্তির মাধ্যমে ঘটনাস্থলের আশপাশসহ পাবনা, কুষ্টিয়া, সিরাজগঞ্জ, ঢাকা, নারায়নগঞ্জসহ বিভিন্ন স্থানে গরু ভর্তি ট্রাক ও আসামীদের গ্রেফতার অভিযান চালায় পুলিশ। অভিযানকালে ডাকাত দলের সদস্য ফরহাদ হোসেন এবং বিল্লাল হোসেনকে গ্রেফতার করা হয়। পরে তাদের দেওয়া তথ্য ও প্রযুক্তি ব্যবহার করে মামলার ১ নম্বর আসামী ফজলে রাব্বীসহ তিনজনকে গ্রেফতার ও ডাকাতি কাজে ব্যবহৃত একটি ট্রাক জব্দ করে পুলিশ। এঘটনায় বাকী ২ জন আসামীকে গ্রেফতার অভিযান অব্যাহত রেখেছে পুলিশ।