নাটোর অফিস ॥
সিংড়ায় আগুনে ঝলসে যাওয়া শিশু আব্দুল্লাহ এর চিকিৎসার দায়িত্ব নিয়ে ঢাকায় নিয়ে গেলেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক এমপি। শিশুটির খবর স্থানীয় গণমাধ্যম কর্মীদের মাধ্যমে জানতে পেরে তাৎক্ষনিক পৌর মেয়র জান্নাতুল ফেরদৌস ও আওয়ামীলীগ নেতা রুহুল আমিনকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ সহ ঢাকার মহাখালী হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে পাঠানোর নির্দেশ দেন প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। প্রতিমন্ত্রীর নির্দেশ পেয়ে পৌর মেয়র ও রুহুল আমিন ওই শিশুটিকে হাসপাতালে নিয়ে যান এবং প্রাথমিক চিকিৎসা সেবার ব্যবস্থা করে ঢাকায় মহাখালী হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে পাঠানোর ব্যবস্থা করেন। শিশুটির পরিবারকে গাড়ি ভাড়া করে যাবতীয় খরচ বহনের ব্যবস্থা করে তাদের সোমবার বেলা সাড়ে তিনটার দিকে ঢাকায় পাঠিয়ে দেন। সেখানে প্রতিমন্ত্রী পলক শিশুটির চিকিৎসার যাবতীয় ব্যবস্থা করে রেখেছেন বলে জানান রুহুল আমিন।
পৌর মেয়র জান্নাতুল ফেরদৌস বলেন, প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকের নির্দেশ পেয়ে শিশুটিকে তার পরিবার সহ ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। গাড়ি ভাড়া করে তাদের ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। সেখানে মহাখালী হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে শিশুটির চিকিৎসার সকল ব্যবস্থা করেছেন প্রতিমন্ত্রী।
স্থানীয় গণমাধ্যম কর্মী মডেল প্রেস ক্লাবের সভাপতি রাজু আহেমদ জানান,আগুনে ঝলসে যাওয়া চিকিৎসার অভাবে কাতর এক শিশু, বিষয়টি জানতে পেরে সোমবার দুপুরে একজন সহকর্মী সহ তিনি সিংড়া দমদমা পাইলট স্কুল এন্ড কলেজের আশ্রয় কেন্দ্রে যান। সেখানে বন্যার্ত সিংড়া পৌর এলাকার ৪ টি পরিবার আশ্রয় নিয়ে আছে। সেখানে গিয়ে আগুনে ঝরসে যাওয়া শিশু আব্দুল্লাহর পরিবারের খোঁজ খবর নেন এবং তাৎক্ষনিক আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক এমপিকে বিষয়টি অবহিত করা সহ প্রতিমন্ত্রী ফেসবুক আইডির ম্যাসেঞ্জারে শিশুটির ঝলসে যাওয়া শরীরের ছবি পাঠান। এসময় প্রতিমন্ত্রী পলক ওই পরিবারের সাথে ভিডিও কলে যুক্ত হয়ে কথা বলেন এবং ওই শিশুর সকল চিকিৎসার দায়িত্ব গ্রহণ করার আশ্বাস দেন। একই সাথে তিনি তাৎক্ষনিকভাবে কিছু নগদ সহায়তা প্রদান করেন। পৌর এলাকার ৩ নং ওয়ার্ড দক্ষিন দমদমা এলাকার রিকশা চালক মৃদৃল আলী শিশু আব্দুল্লাহর বাবা ।
আব্দুল্লাহর বাবা মৃদৃল জানান, আমরা প্রায় ২০ দিন আগে বন্যায় বাড়ি ডুবে যাওয়ায় এখানে আশ্রয় নেই। গত মঙ্গলবার মাগরিব নামাজের সময় খেলাধুলা সময় চুলার উপর পড়ে যায় আব্দুল্লাহ। এসময় গরম পানিসহ ভাতের পাতিল তাঁর গায়ের ওপর পড়ে।এতে তার শরীরের অনেক অংশ পুড়ে ঝলছে যায়। সিংড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নেই। তারা উন্নত চিকিৎসার পরামর্শ দেন কিন্তু অর্থের অভাবে তা সম্ভব হচ্ছিলোনা জন্য কবিরাজি চিকিৎসা শুরু করছিলাম। আজ প্রতিমন্ত্রী মহোদয় আমাদের ফোন করে ঢাকায় যেতে বলেছেন দ্রুত উন্নত চিকিৎসার জন্য সকল দায়িত্ব তিনি নিয়েছেন। পৌর মেয়র জান্নাতুল ফেরদৌস ও রুহুল আমিন আমার ছেলেকে আজ সোমবার আবার হাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসা করিয়ে ঢাকায় যাওয়ার ব্যবস্তা করেন। পৌর মেয় ফেরদৌস মাইক্রে ভাড়া করে দিয়েছেন। আমারা ঢাকায় যাচ্ছি মন্ত্রীর কাছে। তিনি সব ব্যবস্থা করেছেন আমার ছেলের জন্য। আল্লাহ মন্ত্রী,মেয়র ও রুহুল ভাইয়ের ভাল করবেন। তারা দীর্ঘায়ু হবেন।
আব্দুল্লাহর মা রুপালী কান্না জড়িত কন্ঠে বলেন, মন্ত্রী মহোদয়ের কাছে কৃতজ্ঞ। আমরা মহান আল্লাহর কাছে দোয়া করি আল্লাহপাক তাঁর মঙ্গল করুক। আর দেশবাসির কাছে আব্দুল্লাহর সুস্থতার জন্য সবার দোয় কামনা করেন তিনি।