নাটোর অফিস॥
চিকিৎসক না হয়েও রোগীকে ব্যাথা নাশক ইনজেকশন পুশ করে অসুস্থ করার অভিযোগে নাটোরের গুরুদাসপুরে এক পল্লী চিকিৎসকের দুই সহকারীকে জেল-জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। এদের মধ্যে একজনকে তিন মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড ও অপরজনকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয় । শনিবার (১০ অক্টোবর) বিকেলে উপজেলার চাঁচকৈড় বাজারে আজাদ চিকিৎসালয়ে অভিযান চালিয়ে এই জেল-জরিমানা করেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোঃ আবু রাসেল। এসময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক সঞ্চিতা সরকার ও গুরুদাসপুর থানা পুলিশ। অভিযুক্তরা হলেন, গুরুদাসপুর পৌরশহরের খলিফা পাড়া মহল্লার বাসিন্দা মোঃ সজল হোসেন (২৭) ও মোঃ হাবিব (২৫)। তবে ওই রোগীর নাম জানা যায়নি।
গুরুদাসপুর উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি ) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ আবু রাসেল এ তথ্য নিশ্চিত করে জানান, শনিবার বিকেলে চাচকৈর বাজারে আজাদ চিকিৎসালয়ে পল্লী চিকিৎসক মোঃ আজাদের কাছে কানের ব্যথা নিয়ে চিকিৎসা নিতে আসেন স্থানীয় এক রোগী। এ সময় ওই চিকিৎসালয়ে ডাক্তার মোঃ আজাদ উপস্থিত ছিলেন না। ডাক্তারের অনুপস্থিতিতে তার দুই সহযোগী সজল হোসেন ও হাবিব কানের ব্যাথা নিয়ে আসা ওই রোগীকে ব্যথানাশক একটি ইনজেকশন পুশ করেন। এতে ওই রোগীর অবস্থা আরও অবনতি হয়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে তাদের হাতেনাতে আটক করা হয়। এসময় তারা অপরাধ স্বীকার করে জানান, চিকিৎসা সংক্রান্ত বিষয়ে তাদের কোন প্রকার যোগ্যতা বা সনদ নেই। এমন কি চিকিৎসা কাজে কোন প্রকার পূর্ব অভিজ্ঞতাও নেই তাদের। পরে ভ্রাম্যমাণ আদালতে এই ঘটনায় মোঃ সজল হোসেনকে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন, ২০০৯ এর ৫৩ ধারায় ৩ মাসের বিনা শ্রম কারাদন্ড প্রদান করা হয়। আর মোঃ হাবীবকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
এছাড়া পৃথক অভিযানে মেয়েকে উত্ত্যক্ত করার অপরাধে নাজিরপুর ইউনিয়নের রানীনগর গ্রামে শাহিন হোসেন (২৫) নামে এক যুবককে ১৪ দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। শাহীন ওই গ্রামের আনসার শেখের ছেলে । তাকে বিকেলেই জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। তিনি বলেন , জনস্বার্থে এরূপ অভিযান অব্যাহত থাকবে।