নাটোর অফিস॥
নাটোরের গুরুদাসপুর উপজেলার চাপিলা ইউনিয়নে আলিপুর দাখিল মাদরাসা। এই মাদরাসার মাঠ ও চারটি কক্ষে জলাবদ্ধতায় বছরে ৮ মাস পানির নিচে ডুবে থাকে । মাঠের নিচু জায়গা এবং পার্শ্ববর্তী এলাকায় অপরিকল্পিত ভাবে যত্রতত্র পুকুর খনন করার কারনে এ সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে। এরপরও প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারীরা প্রায় ২০ বছর যাবৎ বিনা বেতনে শিক্ষার্থীদের পাঠদান করিয়ে আসছেন।
মাদরাসা সূত্রে জানাযায়, ১৯৬৭ সালে উপজেলা সদর হতে ২৪ কি.মি পশ্চিমে আহম্মেদপুর-বড়াইগ্রাম সড়ক সংলগ্ন আলীপুর গ্রামে প্রতিষ্ঠিত হয় এ মাদরাসাটি। স্থাণীয় শিক্ষানুরাগী মরহুম আলহাজ্ব আব্দুল কাদের মুন্সি ও তার ছোট ভাই মরহুম ইব্রাহীম আলী এলাকার অবহেলিত মানুষদের ধর্মীয় শিক্ষার কথা চিন্তা করে সমাজকে সু-শিক্ষিত করে দেশের উন্নয়নে সম্পৃক্ত করার লক্ষে নিজেদের এক একর জমির ওপর মাদরাসাটি প্রতিষ্ঠা করেন। প্রতিষ্ঠার পর থেকে মাদরাসায় শিক্ষার্থীদের প্রথমে প্রতিদিন সকালে ফোরকানীয়া পাঠদান করানো হতো। পরে এবতেদায়ী খুলে প্রথম থেকে পঞ্চম শ্রেণী পর্যন্ত পাঠদান শুরু হয়। খুরিয়ে খুরিয়ে চলতে চলতে ১৯৯৩ সালে প্রতিষ্ঠানটি বন্ধ হয়ে যায়। এর পর ১৯৯৬ সালে আওয়ামীলীগ সরকার ক্ষমতায় এলে স্থানীয় সাংসদ আলহাজ¦ অধ্যাপক আব্দুল ক্দ্দুুসের সহযোগিতায় প্রতিষ্ঠানটি আবার চালু হয়। বর্তমানে ওই মাদরাসায় ২০ জন শিক্ষক-কর্মচারী ও ২৭০জন শিক্ষার্থীদের সরকারের সকল নিয়মনীতি অনুসারোন করে পাঠদান করাচ্ছেন। একই সাথে প্রতি বছরই সন্তোষ জনক ফলাফল লাভ করে আসছে।
আলীপুর দাখিল মাদরাসার প্রতিষ্ঠাতা সুপার আশরাফুল আলম বলেন, বছরের ৮ মাস জলাবদ্ধতা হয়ে থাকে। শিক্ষার্থীদের পাঠদান করানো কষ্টকর হয়। তবু গত ২০ বছর ধরে আমরা ২০ জন শিক্ষক-কর্মচারী বিনা বেতনে মাদরাসার শিক্ষার্থীদের পাঠদান করিয়ে আসছি। আমাদের অনেক আশা ছিলো গত বছর সবার সাথে আমাদেরটাও এমপিও ভুক্তি হবে। কিন্তু গত বছরেও আমাদের প্রতিষ্ঠানটি এমপিও ভুক্ত হয়নি।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার হাফিজুর রহমান বলেন, দীর্ঘ দিন যাবৎ আলীপুর দাখিল মাদরাসার শিক্ষক কর্মচারিগণ বিনা বেতনে সকল নিতিমালা অনুসরণ করে শিক্ষার্থীদের পাঠ দান করিয়ে আসছে। প্রতিষ্ঠানটির শিক্ষার্থী ও ফলাফল সন্তোষ জনক।
মাদরাসা পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি শাহআলম জানান, দীর্ঘদিন যাবৎ এই প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারীরা বেতন পায় না। তারপরও বছরের প্রায় ৮ মাস জলাবদ্ধতা হয়ে থাকে। এ কারনে শিক্ষার্থীদের পাঠদান ব্যহত হয়। প্রতিষ্ঠানটি এমপিও করে প্রতিষ্ঠানে একটি ভবন করে দিলে এলাকার সাধারণ ছেলে-মেয়েরা পড়াশোনা করতে পারতো।