নাটোর প্রতিনিধি
নাটোরের সিংড়ার বানভাসি মানুষদের কাছে দেয়া প্রতিশ্রুতির বাস্তবায়ন করলেন আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। শনিবার আত্রাই নদীতে বসানো অবৈধ সোঁতি জাল ও বাঁধ অপসারনে অভিযানে অংশ নিয়ে সেই প্রতিশ্রুতির বাস্তবায়ন করেন তিনি। আত্রাই নদীতে বসানো বন্যা সৃষ্ট অবৈধ সোঁতি জাল উচ্ছেদের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন প্রতিমন্ত্রী পলক। গতকাল শুক্রবার সিংড়া পৌরএলাকার ভাঙ্গনকবলিত শোলাকুড়া এলাকা পরিদর্শন ও বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থদের ত্রান বিতরন করতে গিয়ে বানভাসিদের প্রতিশ্রতি দেন আত্রাই নদীতে পাতা সকল অবৈধ সোঁতি জাল উচ্ছেদ করার। এদিন তিনি ঘোষনা দিয়ে বলেছিলেন,আত্রাই নদীতে অবৈধ ও নিষিদ্ধ সোঁতি জাল ফেলে বন্যা সৃষ্টিকারীরা যত শক্তিশালী হোক না কেন তাদের ছাড়া হবেনা। অবৈধ সোঁতি উচ্ছেদ ও নিয়মিত মামলা দিতে প্রশাসনকে নির্দেশ দেন।প্রয়োজনে জনগনকে সাথে নিয়ে তিনি নিজে উচ্ছেদ অভিযানে নামবেন বলে এদিন ঘোষনা দেন। বাসভাসিদের কাছে দেয়া সেই প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন করতে শনিবার তিনি জেলা ও উপজেলা প্রশাসনকে সাথে নিয়ে নিজে সৌতি উচ্ছেদ অভিযানে অংশ নেন। শনিবার সকালে সিংড়া পৌর এলাকায় প্রতিমন্ত্রীর বাসভবন সংলগ্ন আত্রাই নদী থেকে প্রায় ২০ টি নৌকা যোগে শত শত স্বেচ্ছাসেবক এবং নেতাকর্মী ও জেলা এবং পুলিশ প্রশাসনকে সাথে নিয়ে সোঁতি উচ্ছেদ অভিযানে নামেন প্রতিমন্ত্রী পলক। সিংড়া থেকে বিলদহর পর্যন্ত প্রতমন্ত্রীর নেতৃত্বে সৌঁতি জাল উদ্ধার এবং বাঁধ অপসারন করা হয়। এসব সোঁতি বাধ অপসারনের সময় উদ্ধার করা শত শত বাঁশ ভাঙ্গলকবলিত শোলাকুড়া এলাকায় ভাঙ্গনরোধে পাঠানো হয়। স্থানীয়রা জানান, এসব অবৈধ সোঁতি জালের কারনে পানির প্রবাহ বাধাগ্রস্থ হয়ে বাঁধ ভেঙ্গে গেছে। ভাঙ্গন এলাকা পরিদর্শনকালে প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, উপজেলার কতিপয় কিছু সন্ত্রাসী নদীতে অবৈধ সোঁতিজাল দিয়ে পানির স্বাভাবিক চলাচল ব্যহত করায় এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। সোঁতি জালের কারনে পানির গতি পথ বাধাগ্রস্থ হওয়ায় বাঁধ ও রাস্তা ভেঙ্গে বন্যার সৃষ্টি করেছে। গত বুধবার সকালে পৌর এলাকার শোলাকুড়া বাঁধ ভেঙ্গে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়।এতে প্রায় ১৭ টি ঘরবাড়ি ধ্বসে পড়ায় নি:স্ব হয়ে পড়েছে এসব পরিবার। এখনও বেশ কয়েটি বাড়ি হুমকির মুখে রয়েছে। যাদের জমি ভাঙ্গনের কবলে পরে পানিতে তলিয়ে গেছে সে সব জমিতে এখন আর ফসল আবাদও হবেনা। প্রায় হাজার একর জমি এই ক্ষতির মুখে পড়েছে। সিংড়ায় দ্বিতীয় দফা বন্যায় এবার প্রায় এক’শ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা এসব বানভাসি ও ক্ষতিগ্রস্থ কৃষকদের সহায়তর নির্দেশ দিয়েছেন। তাদের সার্বক্ষনিক খোঁজ খবর রাখা সহ মনিটরিং করা হচ্ছে। এই অভিযানে অন্যান্যের মধ্যে অংশ নেন জেলা প্রশাসক মোঃ শাহরিয়াজ,পুলিশ সুপার লিটন কুমার সাহা, সিংড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার নাসরিন বানু, উপজেলা আওয়ামীলীগের ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক রুহুল আমিন প্রমুখ।
পুলিশ সুপার লিটন কুমার সাহা বলেন, মানব সৃষ্ট বন্যার জন্য যারা দায়ী তাদের বিরুদ্ধে কঠোর অভিযান শুরু করা হয়েছে।
জেলা প্রশাসক মোঃ শাহরিয়াজ বলেন, বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থ মানুষদের সার্বিক সহযোগিতা দেয়া হবে।