নাটোর অফিস
নাটোরের লালপুর-বাগাতিপাড়ার আওয়ামীলীেগর শীর্ষ চার নেতা বর্তমান সাংসদ শহিদুল ইসলাম বকুল,সাবেক সাংসদ আবুল কালাম আজাদ,লালপুর উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আফতাব হোসেন ঝুলফু এবং লালপুর আওয়ামীলীগ সাধারন সম্পাদক ও উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ইসাহাক আলী দীর্ঘদিন পর এক মঞ্চে বসেছিলেন। বৃহস্পতিবার লালপুরে উপজেলা আওয়ামীলীগের বর্ধিত সভায় তারা এক মঞ্চে বসেন। এদিন চার নেতাই দলের স্বার্থে ঐক্যের রাজনীতির কথা বলেন। গত উপজেলা নির্বাচনের পর থেকে এই চার নেতা দুরত্ব বজায় রেখে চলতেন। পৃথকভাবে দলীয় কর্মসুচী পালন করায় এই চার নেতার মধ্যেকার অর্ন্তদ্বন্দ্বের বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে। বৃহষ্পতিবার দুপুরে লালপুর উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে উপজেলা আওয়ামী লীগের বিশেষ বর্ধিত সভায় এই চার নেতাকে আবারও এক মঞ্চে দেখা যায়। চারনেতাকে একসাথে ও এক মঞ্চে দেখে নেতা কর্মীদের মধ্যেও ঐক্যের সুর শোনা যায়।
লালপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আফতাব হোসেন ঝুলফুর সভাপতিত্বে বর্ধিত সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য এডভোকেট আবুল কালাম। বর্ধিত সভা সঞ্চালনা করেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ইসাহাক আলী। বর্ধিত সভায় দলের উপজেলা কমিটির সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতাদানকালে প্রধান অতিথি জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য এডভোকেট আবুল কালাম তার বক্তব্যে বলেন, ‘সকল স্তরের আওয়ামী লীগের কর্মীদের দীর্ঘ সংগ্রাম ও রাজনীতির ফসলস্বরুপ আজ লালপুর-বাগাতিপাড়ার মানুষের সেবা করার সুযোগ পেয়েছে আওয়ামী লীগ। এ সুযোগ কাজে লাগাতে হবে। যিনি সংসদে এ আসনের প্রতিনিধি, তাকে সহযোগিতা করতে হবে। করোনা সংকটের কারণে সংসদ সদস্য শহিদুল ইসলাম বকুল উন্নয়নমুলক অনেক কাজ করতে পারেননি। শুধু তিনিই না, সারাদেশের সাংসদরা করোনা প্রতিরোধে যথেষ্ট সাহসী ভুমিকা পালন করেছেন। এই বাস্তবতাকে মেনে নিয়ে আমাদের কাজ করতে হবে।’দলের স্বার্থে আমরা সবাই ঐক্যবদ্ধ।
বিশেষ অতিথির বক্তৃতায় নাটোর-১(লালপুর-বাগাতিপাড়া) আসনের সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শহিদুল ইসলাম বকুল বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাদের ঐক্যের প্রতীক আর আওয়ামী লীগ আমাদের ভরসাস্থল ও শেষ ঠিকানা। আমরা দলের যারা যে স্তরেই দায়িত্ব পালন করি না কেন, দিনশেষে সকলে ঐক্যবদ্ধ। ঐক্যের রাজনীতি আছে বলেই বিএনপি অধ্যুষিত লালপুর এখন আওয়ামী লীগের দুর্গে পরিণত হয়েছে। আমরা মানুষের স্বার্থে রাজনীতি করি। দলের স্বার্থে সকল প্রকার অপরাজনীতিকে রুখে দিয়ে এই সংগঠনকে আরো গতিশীল করতে সকলকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।বর্ধিত সভার বক্তব্যে দলের বিভিন্ন ইউনিটের নেতাকর্মীরা মেয়াদোত্তীর্ণ কমিটি বিলুপ্ত করে নতুন সম্মেলনের তারিখ নির্ধারণের জন্য উপজেলা নেতাদের নিকট দাবী জানান।