নাটোর অফিস ॥
নাটোরের তেবাড়িয়া হাটে আধিপত্য নিয়ে প্রতিপক্ষের বাড়ি-ঘরে হামলার ও ভাংচুরের ঘটনায় নাজমুল হোসেন সরকারসহ ১২ জনের নাম উল্লেখ সহ অজ্ঞাত আরও ৭ জনের বিরুদ্ধে দ্রুত বিচার আইনে মামলা হয়েছে। রোববার সন্ধ্যার দিকে হাটের অনৈতিক সুবিধা নিয়ে বিরোধের জেরে প্রতিপক্ষ শফিকুল ইসলামের বাড়ি -ঘরে এই হামলার ঘটনা ঘটে। এসময় ৩ নারীসহ ৪ জন আহত হয়। এঘটনায় সোমবার সদর থানায় ১৯ জনের বিরুদ্ধে দ্রুত বিচার আইনে মামলা হয়েছে।
পুলিশ ও ক্ষতিগ্রস্থ পরিবার সুত্রে জানা যায়,উত্তরবঙ্গের ঐতিহ্যবাহি তেবাড়িয়া হাটের অনৈতিক সুবিধা নিয়ে দির্ঘদিন ধরে শফিকুল ইসলামের সাথে ও নাজমুল হোসেন সরকার এবং তার গংদের বিরোধ চলছিল। তারা উভয়েই হাট ইজারার টোল (খাজনা) প্রদানের রশীদ ছাড়াই অনৈতিক সুবিধা নিয়ে গরু পার করে দিত। এই অনৈতিক সুবিধার ভাগবাটোয়া নিয়ে রোববার হাটবারে উভয়ের মধ্যে বিরোধ বাধে। শফিকুলের ভাই সুজন বিষয়টি তার ভাইকে বললে বিরোধ চরমে ওঠে। এক পর্যায়ে প্রতিপক্ষ নাজমুলের লোকজন সুজনকে চর থাপ্পর মারে। হাট শেষে সন্ধ্যার পর নাজমুল ও তার গংরা শফিকুল ইসলামের বাড়িতে চড়াও হয়। এসময় বাড়ির লোজন বাধা দিলে তাদের মারপিট করা হলে নারী সহ ৪ জন আহত হয়। হামলাকারীরা বাড়ির আসবাবপত্র ভাংচুর করে চলে যায়।
শফিকুল ইসলাম জানান, নাজমুল গংরা তার বাড়িতে হামলা করে মোটর সাইকেল সহ মুল্যবান আসবাবপত্র ভাংচুর ও লুটপাট করে। এতে তার প্রায় ৬ লক্ষাধিক টাকার ক্ষতি হয়েছে।
সদর থানার ওসি (তদন্ত) আব্দুল মতিন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, এঘটনায় নাজমুল সহ ১২ জনের নাম উল্লেখ করে ১৯ জনকে আসামী করে দ্রুত বিচার আইনে মামলা হয়েছে। আসামীদের গ্রেফতারে পুলিশ অভিযান চালাচ্ছে।