নাটোর অফিস॥
নাটোরের আত্রাই নদী থেকে অবৈধভাবে পাতা নিষিদ্ধ সোঁতি জালের বাঁধ অপসারন করেছে গুরুদাসপুরের ভ্রাম্যমান আদালত। শুক্র ও শনিবার দু’দিন গুরুদাসপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ তমাল হোসেনের নেতৃত্বে ভ্রাম্যমান আদালত আত্রাই নদীর যোগেন্দ্রনগর,বিয়াঘাটের রাবারড্যাম, সাবগাড়ী বাজার পয়েন্ট, হরদমার নালে এবং খুবজীপুর ইউনিয়নের কালাকান্দর পয়েন্টসহ বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে অবৈধ এসব বাঁধ অপসারন করেছে। তবে এসবের সাথে জড়িতদের ধরা যায়নি। পরে জব্দকৃত বাঁধ তৈরির উপকরন পুড়িয়ে বিনষ্ট করা হয়। এসময় উপজেলা সিনিয়র মঃস্য কর্মকর্তা আলমগীর কবির প্রমুখ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন।
স্থানীয়রা অভিযোগ করে জানান,আত্রাই নদীর উভয় তীরে বাঁশ,চাটাই ও নেট জালের সাহায্যে বাধ দিয়ে নদীকে সংকুচিত করা হয়েছে। নদীর স্বাভাবিক প্রবাহিত পানির গতিকে বহুগুন বাড়িয়ে কৃত্রিম স্রোত সৃষ্টি করে নিষিদ্ধ সোঁতি জাল পেতে মাছ শিকার করা হয়। এভাবে অবৈধ সোঁতি জাল পাতার কারনে ছোট -বড় সব ধরনের মাছ সহ জলজ প্রানি ধরা পড়ছে। এতে করে আত্রাইসহ বিভিন্ন নদ-নদী,জলাশয় ও চলনবিল এলাকায় ছোট-বড় মাছ সহ জলজ প্রানি বিলীন হয়ে যাচ্ছে। এছাড়া নদীর স্রোতের কারনে প্রায়ই ঘটছে নৌকা ডুবির মত ঘটনা।
উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা আলমগীর কবির জানান, দুই দফার অভিযানে ৫টি সোতি জালের বাঁধ উচ্ছেদ করা হয়েছে। নদীর পানি প্রবাহ বাধাগ্রস্থ করে কাউকে মাছ শিকার করতে দেওয়া হবে না।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. তমাল হোসেন বলেন- স্থানীয়দের অভিযোগ মতে গুরুদাসপুরের আত্রাই নদীসহ বিলের কয়েকটি স্থানে অবৈধ সোতি দিয়ে মাছ শিকার চলছিল। এতে মারাত্মকভাবে নদীর পানি প্রবাহ বাধাগ্রস্থ হচ্ছিল। এসব সোঁতির জাল ও বাধের কারণে বানের পানি সময় মতো নামতে না পারলে চলনবিলজুড়ে রবিশষ্য আবাদ বিপর্যয়েরও শঙ্কা তৈরি হয়েছিল। একারণে দুই দফার অভিযানে ৫টি অবৈধ সোতি জালের বাঁধ উচ্ছেদ করা হয়েছে। এই অভিযান অব্যহত থাকবে।