নাটোর অফিস ॥
নাটোরের বাগাতিপাড়ায় অভ্যন্তরিন বিরোধের জেরে ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ অফিসে প্রতিপক্ষ গ্রুপ হামলার করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। মঙ্গলবার রাতে উপজেলার দয়ারামপুর ইউনিয়নের হাটগোবিন্দপুর বাজারে এই ঘটনা ঘটে। ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ রাতেই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে।
উপজেলা আওয়ামীলীগ সদস্য ও ইউনিয়ন শ্রমিক লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ইউপি সদস্য আব্দুস সালাম বলেন, মঙ্গলবার রাতে তিনি কয়েকজন সমর্থক সহ হাটগোবিন্দপুর বাজারে দলীয় কার্যালয়ে বসে ছিলেন। এসময় ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক গোলাম রসুল ১০ /১৫ জন সমর্থক সহ অফিসে চড়াও হয়। এসময় তারা অফিসে স্থানীয় এমপির কোন ছবি না থাকায় অশালীন ভাষায় গালাগালি শুরু করে এবং বঙ্গবন্ধু সহ দলের স্থানীয় ও কেন্দ্রিয় নেতৃবৃন্দের ছবি সম্বলিত দুটি ব্যানার ছিঁড়ে ফেলে। তারা অফিস বন্ধ করে চলে যাওয়ার পর গোলাম রসুলরা দলবল নিয়ে অফিসের তালা ভেঙ্গে অফিস দখল করে নিয়েছে। গোলাম রসুল গংরা রাতে তার বাড়িতে গিয়ে নানা হুমকি দিয়ে আসে। বুধবার সকাল থেকে তারা মোবাইল ফোনে প্রাননাশের হুমকি দিচ্ছে। এঘটনায় থানায় মামলা করার প্রস্তুতি নেয়া হচ্ছে।
এই অভিযোগকে মিথ্যাচার ও ভিত্তিহীন বলে দাবী করেছেন ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ সাধারন সম্পাদক গোলাম রসুল। তিনি বলেন,কোন ধরনের হামলা বা মারপিটের ঘটনা ঘটেনি। পাল্টা অভিযোগ তুলে রসুল বলেন,তারা একটি কিন্ডার গার্ডেন স্কুল স্থাপন করেন। কিন্তু স্কুলটি চালু না হওয়ায় পড়ে থাকে স্কুলটি। ওই স্কুলের একটি কক্ষে তারা সকলেই বসেন। ইউপি সদস্য আব্দুস সালাম দলীয় প্রভাব খাটিয়ে কিছু ঘর ভাড়া দিয়ে খাচ্ছেন। মঙ্গলবার রাতে এই নিয়ে তার সাথে কিছু কথা হয়েছে এর বেশী কিছু নয়। ওই অফিসে আমরা সবাই বসি। তালা ভেঙ্গে অফিস দখলের কোন প্রশ্নই ওঠেনা। স্থানীয় সংসদ সদস্য শহিদুল ইসলাম বকুলের সুনাম ক্ষুন্ন করতেই এই মিথ্যা নাটক সাজানো হয়েছে।
উপজেলা আওয়ামীলীগ সভাপতি আবুল হোসেন জানান, হামলাকারীরা সকলেই স্থানীয় এমপির সমর্থক।
বাগাতিপাড়া থানার অফিসার ইনচার্জ নাজমুল হোসেন বলেন, খবর পেয়ে রাতেই ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়। সেখানে হামলার কোন আলামত পাওয়া যায়নি । তবে অব্যন্তরিন বিরোধ নিয়ে দু’টি গ্রুপের সমর্থকদের মধ্যে কথাকাটাকাটি ও উত্তেজনা দেখা দেয় বলে স্থানীয়দের মাধ্যমে তিনি শুনেছেন। কোন পক্ষই এনিয়ে থানায় অভিযোগ করেননি।