নাটোর অফিসঃ করোনা পরীক্ষার জন্য নাটোর থেকে প্রেরিত সম্ভাব্য আক্রান্ত ব্যক্তিদের নমুনা(সোয়াব) পরীক্ষা না করে ফিরিয়ে দিচ্ছে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পিসিআর ল্যাব। এতে করোনা পরীক্ষার ফলাফল দেরিতে প্রকাশিত হওয়ায় আক্রান্ত ব্যক্তির সংস্পর্শে আসা মানুষরাও করোনায় আক্রান্ত হচ্ছে।
কেনো নাটোর জেলার করোনা নমুনা পরীক্ষা করা হচ্ছে না, সে ব্যাপারে রামেক পিসিআর ল্যাব বা ভাইরোলজি বিভাগের কেউ কথা বলতে রাজি নন।
জানা যাচ্ছে, করোনা সংক্রমণ শুরুর দিকে রাজশাহীর পিসিআর ল্যাবে বিভাগের ৮ জেলার নমুনা পরীক্ষা শুরু হয়। প্রথমদিকে প্রায় সমানহারে পরীক্ষা করা হলেও মাসকয়েকের মধ্যে বগুড়া, পাবনা ও সিরাজগঞ্জে পিসিআর ল্যাব স্থাপিত হওয়ায় রামেকে আনুপাতিক হারে নমুনা পরীক্ষা কমে আসে। এই অবস্থায় রাজশাহীর ল্যাবে রাজশাহী, নাটোর, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, নওগাঁ ও জয়পুরহাট জেলার নমুনা পরীক্ষা হয়। করোনা পরীক্ষায় ফি নির্ধারণের পর এই জেলাগুলোতে আরও কমতে থাকে নমুনা সংগ্রহ ও পরীক্ষার সংখ্যা। এই অবস্থায় শুরুর তুলনায় খুবই নগন্য নমুনা সংগ্রহ হওয়ার পরও নাটোর জেলার করোনা নমুনা পরীক্ষা না করে ঢাকায় পাঠাচ্ছে রাজশাহী ল্যাব। শুরুর দিকে অতিরিক্ত চাপ সামলাতে কিছু নমুনা ঢাকায় প্রেরণ করা হলে পরিস্থিতি বিবেচনায় স্ব স্ব ল্যাবের সংগৃহীত নমুনার সাথে সেসব প্রেরিত নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এমন প্রেক্ষিত বিদ্যমান না থাকলেও নমুনা পরীক্ষার পরিবর্তে ফেরত দেয়ায় ক্ষুদ্ধ নাটোরের মানুষ।
গত ৩০শে জুলাই বৃহস্পতিবার নাটোর থেকে রামেক ল্যাবে নমুনা প্রেরণ করা হলে কর্তৃপক্ষ গ্রহণ ও পরীক্ষায় অস্বীকৃতি জানিয়ে নমুনাগুলো ফিরিয়ে দেয়। এ অবস্থায় জেলা সিভিল সার্জন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি অবহিত করে বিশেষ ব্যবস্থায় নমুনাগুলো ঢাকায় প্রেরণ করেন। কিন্তু ঢাকাতে অত্যধিক চাপের কারণে নমুনার ফলাফল পেতে দেরী হয়।
জেলা সিভিল সার্জন ডা. কাজী মিজানুর রহমান বলেন, ‘নাটোরে একটি ল্যাব থাকলে পরীক্ষার জন্য অন্য ল্যাবের প্রতি নির্ভরশীল থাকতে হতো না। মানুষ নমুনা দিয়ে বাইরে বেরিয়ে যাওয়ায় করোনা সংক্রমন বাড়ছে। দ্রুত পরীক্ষার ব্যবস্থা হলে সংক্রমন কমে যেতো। নমুনাগুলো যাতে দ্রুত পরীক্ষা হয়, আমাদের সেই চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।’