নাটোর অফিসঃ ২০১৭ সালে যখন পবিত্র ঈদ-উল-আযহা সমাগত, তখন নাটোরের সিংড়ায় থৈ থৈ করছে বন্যার পানি। হাজারো পরিবার পানিবন্দী। অতিদুর্গত পরিবারগুলো আশ্রয়কেন্দ্রে। ঠিক সেই সময় আশ্রয়কেন্দ্রে অবস্থান করা বানভাসী পরিবারগুলোকে চমক দিয়ে ঈদ উদযাপনের ব্যবস্থা করেছিলেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। বানভাসী মানুষগুলোর শুধু তিন বেলার খাবারই নয়, ঈদের দুপুরে ভাত-মাংসের ব্যবস্থা করেছিলেন পলক। নিজ হাতে আশ্রয়কেন্দ্র ঘুরে ঘুরে বন্যার্তদের মুখে খাবার তুলে দিয়েছিলেন জুনাইদ আহমেদ পলক।
২০১৭ সালের সেই দৃশ্যপটের পুনরাবৃত্তি হলো ২০২০ সালে। তবে এবার মাঝখানে করোনা সংকট। এবারও প্রতিটি আশ্রয়কেন্দ্রে পৌছে গেছে সেই একই খাবার যা পরিবেশিত হয়েছে যথারীতি স্বাস্থ্যবিধি মেনে। প্রত্যক্ষভাবে খাবারের তদারকিতে ছিলেন প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।
একদিকে বৈশ্বিক মহামারী করোনা ভাইরাস, অপরদিকে ভয়াবহ বন্যা। আজ পবিত্র ঈদুল আযহার দিনে সকলের বাড়িতে থেকে ঈদ উদযাপন করার কথা সেই সময়ে সিংড়া উপজেলার হাজার হাজার মানুষ আশ্রয় কেন্দ্রগুলোতে অবস্থান করছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষ থেকে প্রায় অর্ধ মাস যাবত সিংড়া পৌরসভা ও উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের প্রায় ৩৪টি আশ্রয় কেন্দ্রে প্রায় ৪ হাজার মানুষের সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করে তিনবেলা থাকা ও খাওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। আজ ঈদের দিনে বানভাসীদের সাথে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সহায়তায় আশ্রয়কেন্দ্রের জন্য ৬টি গরু কোরবানি দেয়া হয়। কোরবানির মাংস ও ভাত আশ্রয় কেন্দ্রগুলোর ২০৪৭টি পরিবার এবং বন্যাকবলিত এলাকার মানুষের মাঝে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, সিংড়া উপজেলা,পৌর, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ এবং সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দের মাধ্যমে পৌছে দেওয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, আশ্রয় কেন্দ্রে অবস্থান নেয়া মানুষের সাহায্যে এগিয়ে আসার জন্য যারা সহযোগিতা করেছেন এবং উপজেলা, পৌরসভা, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ এবং সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ যারা সার্বক্ষণিক এই কাজে নিয়োজিত ছিলেন তাদেরকে আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা আমাদের চলনবিলের মানুষের পাশে আছেন। প্রতিটি দুর্যোগ সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় আমরা এভাবেই মোকাবেলা করতে সক্ষম হব ইনশা আল্লাহ্।