প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক যখন এক বাঁশের সাঁকোয় উঠলেন তখন অপর প্রান্তে পানিবন্দী মানুষদের চোখে-মুখে বিস্ময়! সেই ঘোর তিনি নিজেই কাটিয়ে দিলেন সাঁকো পেরিয়ে, বানভাসীদের কাছে গিয়ে। সহাস্যবদনে প্রতিমন্ত্রী ঢুকলেন বাড়ি বাড়ি। খোঁজ নিলেন বাড়ির ভেতরে থাকা মানুষদের, বিশেষ করে শিশু ও বৃদ্ধদের। এই বন্যাতেও করোনা পরিস্থিতির কথা বিবেচনা করে সতর্ক থাকতে বললেন।
গত দুই সপ্তাহে দুই দিনের জন্য হলেও দুইবার ঢাকা থেকে নিজ নির্বাচনী এলাকা নাটোরের সিংড়ায় ছুঁটে এসেছেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। এ দুদিন সন্ধ্যা থেকে টকশো আর রাতে ঘুমানোর সময় বাদে বাকী সময়টুকু বন্যায় পানিবন্দী মানুষের খোঁজখবর নিয়েছেন পলক।
ভৌগলিক কারণে সিংড়া এমনই একটি অবস্থানে রয়েছে যেখানে প্রতি বছরই বন্যার পানিতে শহর পর্যন্ত প্লাবিত হয়। শুধু সাধারণ মানুষেরই নয়, পানি বৃদ্ধি পেলে ডুবে যায় সিংড়া গোডাউনপাড়াস্থ প্রতিমন্ত্রীর নিজের বাড়িটিও। ২০১৭ সালের বন্যাতে এক বুক পানি মাড়িয়ে বাড়িতে প্রবেশ করতে হয়েছে খোদ প্রতিমন্ত্রীকেই।
শনিবার সারাদিন সিংড়া শহর ও তাজপুরের প্লাবিত এলাকা ঘুরে দেখেন প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। এসময় প্রধানমন্ত্রীর মানবিক সহায়তা বিতরণ করেন তিনি। বিভিন্ন সড়কের ভাঙ্গন প্রতিরোধে জিও ব্যাগগুলোর সক্ষমতা নিজ হাতে পরীক্ষা করেছেন তিনি। এছাড়া স্বেচ্ছাসেবীদের সাথে ত্রাণের প্যাকেট প্রস্ততেও অংশ নেন তিনি।
সিংড়া পৌরসভার মেয়র জান্নাতুল ফেরদৌস বলেন, ‘একজন প্রতিমন্ত্রী বন্যার্তদের দোড়গোড়ায় পৌছে তাদের সাহস যুগিয়ে পাশে থাকার যে আশ্বাস দিচ্ছেন, তা বিরল ঘটনা। চলনবিলবাসী প্রত্যেক দুর্যোগে তাদের সুযোগ্য সন্তান জুনাইদ আহমেদ পলককে পেয়েছেন।’
পলক পৌরসভার বাসিন্দাদের জানান, বন্যার পানি নেমে গেলে শহর রক্ষা বাঁধ নির্মাণ কাজ পুনরায় শুরুসহ চলনবিলের অবকাঠামো নির্মাণ কাজ শুরু করা হবে।
পলক আশ্বস্ত করেন, ‘২০১৭ সালে আমরা বন্যাকবলিত মানুষদের আশ্রয় প্রদানসহ তাদের খাওয়া ও চিকিৎসাসহ অন্যান্য ব্যয় নির্বাহ করেছি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার একটি মানুষকেও না খেয়ে রাখবেন না। আপনাদের সাথে, আপনাদের পাশে শেখ হাসিনা রয়েছেন।’