নাটোর অফিস॥ নাটোরের লালপুরে বাবা আইয়ুব আলীর থেকে টাকা আদায়ের জন্য অপহরণ নাটক সাজিয়েছে ছেলে হিমেল(১৬)। দুই দিন অপহরণের নাটকের পর একটি মাইক্রো ড্রাইভারকে জিম্মি করে নিজের হাত-পা বেধে রাস্তার ধারে পড়ে থাকে হিমেল। পরে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তবে পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে বের হয়ে আসে হিমেলের অপহরণ নাটকের কথা।
এ ঘটনাটি নিয়ে এলাকায় আলোচনার ঝড় উঠেছে।
ঘটনাটির শুরু লালপুর উপজেলার আহম্মেদপুর মহাদেবপাড়া এলাকায়। হিমেল ওই গ্রামের আইয়ুব আলীর ছেলে।
হিমেলের পরিবার ও পুলিশ সুত্রে জানা যায়, লালপুর উপজেলার আহম্মেদপুর মহাদেবপাড়ার আইযুব আলীর ছেলে হিমেল। বাবা– মায়ের সাথে অভিমান করে গত ১৬ জুলাই ভোরে কুইজিপুকুর মোড়ে যাওয়ার কথা বলে বাড়ি থেকে বের হয়ে যায়। পরে বাড়িতে না ফিরে ১৭ জুলাই সন্ধ্যার পরে বাবা আইযুব আলীর মোবাইলে নিজের মোবাইল থেকে কন্ঠ পরিবর্তন করে ৩ লক্ষ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। এ দিকে আইযুব আলী ছেলে বাড়ি না ফেরায থানায় অবহিত করলে পুলিশ হিমেলকে উদ্ধারে তৎপরতা শুরু করে।
হিমেল নাটোরে একটি আবাসিক হোটেলে ওঠে ৫০০ টাকার বিনিময়ে একটি ছেলেকে দিয়ে নিজের হাত-পা দড়ি দিয়ে বাধা অবস্থায় মোবাইলে ছবি তুলে নেয়। এ ছবি বাড়িতে ও অত্মীয়দের দিয়ে আবারও দাদুকে ফোন করে টাকা চায়।
১৮ জুলাই ফোন দিয়ে নিজেই কন্ঠ পরিবর্তন করে বাবাকে বলে, ‘আপনার ছেলেকে নান্টুর আম বাগানে পাবেন রাতে।’ এ কথা বলে হিমেল নাটোর থেকে পাবনার দাশুরিয়াগামী একটি হলুদ পিকআপে ৭০০ টাকা ভাড়া মিটিয়ে রাত ১১ টার দিকে চাঁদপুর এলাকায় পৌঁছেই পিকআপের ড্রাইভারকে ভয় দেখিয়ে নিজের হাত-পা বেধে নিয়ে রাস্তার পাশে ফেলে রাখতে বলে। ভয় পেয়ে ড্রাইভার তাকে বেঁধে ফেলে রেখ চলে যায় এবং হিমেল অচেতন হয়ে থাকার অভিনয় করে। হ
সময়মতো হিমেলের স্বজনরা ঘটনাস্থলে এসে রাস্তা থেকে তুলে এনে প্রথমে গোপালপুর মুক্তার জেনারেল হাসপাতাল ও পরে লালপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে।
আজ সোমবার(২০শে জুলাই) লালপুর থানা পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে নিজের অপহরণ নাটকের কথা স্বীকার করে।
লালপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মো. সেলিম রেজা বলেন হিমেল তার অভিমান ভাঙ্গতে বাবার কাছ থেকে টাকা নেওয়ার জন্য এই অপহরণ নাটক সাজায়।