নাটোর অফিস॥
একটি মোবাইল ফোন কিনতে টাকার দরকার ছিলো কিশোর সোহানের। বাড়ি থেকে চেয়ে পাচ্ছিলো না সে। তাই পরিকল্পনা করে চুরি করার। তবে চুরি করতে গিয়ে ঘটিয়ে ফেলে হত্যাকান্ড।
নাটোর চৌধুরী পাড়ার বিশিষ্ট মুক্তিযোদ্ধা প্রয়াত মাজেদ খান চৌধুলীর স্ত্রী জাহানারা চৌধুরী হত্যা প্রসঙ্গে নাটোরের পুলিশ সুপার লিটন কুমার সাহা প্রেস ব্রিফিং করেছেন।
পুলিশ সুপার জানান, প্রয়াত মাজেদ খান চৌধুরীর বাড়িতে ভাড়া থাকার সুবাদে জাহানার চৌধুরীর একটি স্মার্টফোনের প্রতি লোভ হয় সোহানের। জাহানারা চৌধুরীর দুই ছেলে ঢাকা থাকায় তিনি একাই বাড়িতে বসবাস করতেন।
লিটন কুমার সাহা বলেন, ঘটনার দিন সোহান বৃহস্পতিবার ভোরে ফজরের নামাজের কিছু পূর্বে আক্তার নামীয় একজনের বাড়ির ছাদ বেয়ে নিচে নেমে এসে পুরাতন জানালা ভেঙ্গে জাহানারা বেগমের ঘরে ঢুকে। এরপর ফোনটি নেওয়ার সময় জাহানারা বেগমের ঘুম ভেঙ্গে যায়। তিনি সোহানকে ঘরে কেন কিভাবে প্রবেশ করছে চিৎকার করতে থাকলে সোহান ঘরের ভিতরে কাঠের র্যাকে থাকা ছুরি দিয়ে জাহানারা বেগমের পিঠে আঘাত করে। এসময় জাহানারা বেগম বাধা দিলে সোহান এলাপাথারি ছুরি দিয়ে আঘাত করতে তাকে।
এ কপর্যায়ে জাহানারা বেগম নিস্তেজ হয়ে এলে সোহান মোবাইল ফোনটি নিয়ে পালিয়ে যায়। এলাকাবাসী জাহানারা চৌধুরীকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানেই তার মৃত্যূ হয়।
পুলিশ সুপার লিটন কুমার সাহা জানান, ঘটনার দুই ঘন্টার মধ্যে অভিযান চালিয়ে চকবৈদ্যনাথ এলাকা থেকে পুলিশ সোহানকে আটক করে। অপরদিকে, নিহত জাহানারা বেগমের ছেলে আরমান খান চৌধুরী লুটু বাদী হয়ে সোহান সহ অজ্ঞাত ব্যক্তিদের অভিযুক্ত করে একটি মামলা দায়ের করেন।
সোহান গতকাল শুক্রবার আদালতে সোপর্দ করলে সে দোষ স্বীকার করে স্বীকারোক্তি মুলক জবানবন্দী দিয়েছে।