নাটোর অফিস॥ আসন্ন কোরবানী ঈদ উপলক্ষে পশুর হাট বসানোর উদ্যোগ নিয়েছে সরকার কঠোরভাবে স্বাস্থ্যবিধি মানার শর্তে।
নাটোরের সিংড়া উপজেলার চৌগ্রাম ইউনিয়নে বসেছে একটি নতুন পশুর হাট। স্থানীয় বৃহত্তম ধান হাটি নামে পরিচিত জামতলী হাটে প্রতি শুক্রবার নতুন এই গবাদী পশুর হাট বসছে। প্রথম দিন হাটে কেনাবেচার জন্য বিপুল পরিমাণ পশু আমদানী হলেও নেই স্বাস্থ্যবিধি।
নাটোর জেলায় বর্তমানে ১৫৬ জন করোনা রোগী সনাক্ত হয়েছে। এদের মধ্যে সিংড়ায় এ পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছেন ৩২ জন, যা জেলায় দ্বিতীয় সর্বোচ্চ।
নাটোর তেবাড়িয়া থেকে ৮ টি গরু নিয়ে আসা সেকেন্দার নামের এক ব্যবসায়ী বলেন, নতুন হাটের কথা শুনে এসেছি। দাম দর হচ্ছে। সঠিক দাম হলে বিক্রয় করবো।
উপজেলার মহেশ চন্দ্রপুর গ্রাম থেকে আসা ওয়াজেদ মিয়া জানান, ৬ টি গরু হাটে এনেছিলাম। এর মধ্যে একটি ষাড় গরু ৪৭ হাজার টাকায় বিক্রয় করেছি। বাড়ির উপর ঢাকার ব্যবসায়ীরা দাম বলেছিল ৪২ হাজার টাকা। সেই তুলনায় নতুন এই হাটে দাম বেশি পেয়েছি।
বগুড়া শেরপুর থেকে ৪ টি মহিষের বাচ্চা এনেছেন ইয়াছিন নামের এক মহিষ ব্যবসায়ী। ইয়াছিন বলেন মহিষের বাচ্চা ক্রেতা এখানে খুবই কম।
তাড়াশ উপজেলা থেকে আসা গরু ব্যবসায়ী রফিক ও জামাল উদ্দিন বলেন,নতুন হাট হিসাবে অনেক গরু উঠেছে। সাশ্রয়ী দামে ২ টা বাছুর গরু কিনেছি।
হাটোর ইজারদার মোঃ ওমর ফারুক বলেন, আমরা এই হাটে ক্রেতা ও বিক্রেতাদের সব রকম সুবিধে দেওয়ার চেষ্টা করছি। প্রতি শুক্রবার নিয়মিত হাট বসার সিদ্ধান্ত হয়েছে। মানুষের চাহিদা অনুযায়ী হাট কমিটির সিদ্ধান্ত নিয়ে সপ্তাহে ২ দিন হাট বসানো হবে।
হাটের উদ্যোক্তা চৌগ্রাম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জাহিদুল ইসলাম ভোলা বলেন, গবাদী পশুর এই নতুন হাটে স্বাস্থ্যবিধি মানা হচ্ছে। আগামী হাটগুলোতে এ ব্যাপারে আরও গুরুত্ব দেয়া হবে।