নাটোর অফিসঃ নাটোরের লালপুরে করোনার উপসর্গ নিয়ে মহসিন আলী (৫৫) নামের একজন মারা গেছেন। বৃহস্পতিবার দুপুরে উপজেলার দুড়দুড়িয়া ইউনিয়নের মির্জাপুর গ্রামের নিজ বাড়িতে তার মৃত্যু হয়। খবর পেয়ে স্বাস্থ্যকর্মীরা সেখানে যাওয়ার আগেই মৃতের দাফন সম্পন্ন হয়। মৃত মহসিন ওই গ্রামের মুক্তার হোসেনের ছেলে।
এলাকাবাসী জানায়, পাবনা জেলার ঈশ্বরদী ইপিজেডে কর্মরত ছিলেন মহসিন। চারদিন আগে আম কেনার জন্য বাড়িতে আসেন। আগে থেকেই তিনি শ্বাসকষ্ট রোগে ভুগছিলেন। বৃহস্পতিবার সকালে তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়। শ্বাসকষ্ট বেড়ে যায় এবং জ্বরও হয়। অবস্থার অবনতি হলে বেলা ১২ টার দিকে তাকে পার্শ্ববর্তী বাঘা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়। এ দিখে করোনা উপসর্গ নিয়ে তার মৃত্যু হলেও করোনা শনাক্তের জন্যে তার নমুনা সংগ্রহ করা হয়নি বলেও জানান এলাকাবাসী। ফলে এলাকাবাসী আতংকে রয়েছেন।
সাহীন ইসলাম নামে স্থানীয় এক গণমাধ্যমকর্মী জানান, এর আগে বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থায় কর্মরত মৃতের ছোট ভাই আব্দুল মজিদ ঢাকা থেকে বাড়িতে আসেন। এ সময় তাকে হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকতে বলা হয়। কিন্তু তিনি রাতেই পালিয়ে ঢাকায় চলে যান। মৃত মহসিনের নমুনা সংগ্রহ না করায় এবং তাদের এভাবে অবাধ চলালে এলাকায় আতঙ্কের সৃষ্টি হয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা উম্মুল বানীন দ্যুতি জানান, আমরা একজনের মৃত্যুর খবর পেয়েছি। স্বাস্থ্যকর্মী সেখানে যাওয়ার আগেই দাফন সম্পন্ন হয়। শুক্রবার সকালে পরিবারের সকলের নমুনা সংগ্রহ করা হবে। ফলাপল না আসা পর্যন্ত পরিবারের লোকদের হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকতে বলা হয়েছে।