নাটোর অফিসঃ নাটোরে আওয়ামী লীগের অঙ্গ সহযোগি সংগঠন ছাত্রলীগ ও যুবলীগের বিবাদমান দুই নেতার পরিবারের সদস্যদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। তারা হলেন জেলা ছাত্রলীগ সাধারণ সম্পাদক রিয়াজুল ইসলাম ও হরিশপুর ইউনিয়ন যুবলীগ সাধারণ সম্পাদক শরিফুল ইসলাম কালিয়া।
গত সোমবার সদর উপজেলার ধলাটে ত্রাণ বিতরণ নিয়ে রিয়াজুল ও কালিয়ার মধ্যে হাতাহাতির ঘটনার জেরে উভয় পরিবারের মধ্যে এই অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেছে।
ধলাটের ওই ঘটনার জেরে বুধবার দুপুরে কালিয়াকে মাদকসহ আটক করে সদর থানা পুলিশ।
এ ঘটনায় রিয়াজুল ও কালিয়ার পরিবার পরস্পরকে দোষারোপ করেছে।
কালিয়া হরিশপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ওসমান গগণা ছেলে।
তবে কালিয়াকে আটকের পর পুলিশ দাবী করেছে, সে একাধিক মামলার আসামী। তাকে ধরতে পুলিশ ইতোপূর্বে অভিযান চালিয়ে ব্যর্থ হয়।
কালিয়ার বাবা হরিশপুর ইউপি চেয়ারম্যান ওসমান গণি ছেলের আটকের পেছনে ছাত্রলীগ সাধারণ সম্পাদক রিয়াজুলের ইন্ধন রয়েছে বলে দাবী করেছেন।
তিনি গণমাধ্যমকে বলেন, ‘জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক রিয়াজুল ইসলামের নেতৃত্বে আমার বাড়িতে হামলা চালিয়ে লুটপাট করা হয়েছে। এসময় লুটপাটে বাধা দিলে আমার স্ত্রী আহত হয়েছে।’
এই অভিযোগ অস্বীকার করে রিয়াজুল ইসলাম বলেন, ‘কালিয়াকে পুলিশ আটক করার জন্য আমাকে দায়ী করে ইউপি চেয়ারম্যান ওসমান গণি তার ছেলেদের আমার বাড়িতে পাঠান। তাদের হামলায় আমার চাচা আব্দুল হাই ও ভাই মেহেদী আহত হয়েছেন। ইউপি চেয়ারম্যানের বাড়িতে হামলার প্রশ্নই আসে না।’
নাটোর সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবুল হাসনাত বলেন, ‘কালিয়ার বিরুদ্ধে অনেকগুলি অভিযোগের ভিত্তিতে বুধবার দুপুরে নাটোর থানা পুলিশ তাকে আটক করেছে। ইতপূর্বেও তাকে আটকের জন্য অভিযান চালায় পুলিশ । কিন্তু সে পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়। তার রিুদ্ধে আইনগত ব্যবস্তা নেয়া হচ্ছে।’