নাটোর অফিস॥ জুম্মার নামাজে সরকারী নির্দেশনামতো পড়ানোয় ইমামের উপর চড়াও হওয়ার ঘটনাকে কেন্দ্র করে সৃষ্ট সংঘর্ষের পর দুইটি পৃথক মামলা দায়ের করা হয়েছে।
একটি মামলার বাদী পুলিশ এবং অপরটির সংশ্লিষ্ট মসজিদের মুয়াজ্জিন।
দুটি মামলায় ২৬ জনকে আসামী করা হয়েছে।
শুক্রবার রাতে নাটোর সদর থানায় পৃথক দুটি মামলা রেকর্ড করা হয়েছে। তবে গতদিন আটক ইউপি সদস্য নাদিরুজ্জামান মৃধাসহ কয়েকজনকে ছেড়ে দিয়েছে পুলিশ।
পুলিশের উপ-পরিদর্শক আনহারের মামলায় পুলিশের ওপর হামলা, কর্তব্য কাজে বাধা প্রদানের অভিযোগে আনা হয়েছে। অপরদিকে, ইমামকে মারধর করার ঘটনায় মসজিদের মোয়াজ্জিন আব্দুস সামাদ বাদী হয়ে শাহীন নামে স্থানীয় এক যুবককে একমাত্র আসামী করে একটি মামলা দায়ের করেছেন।
শাহীনসহ এখন পর্যন্ত গ্রেফতারকৃতরা হলেন মহব্বত, আজিম, আরিফ, মজনু ও আহমেদ। আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।
নাটোর সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবুল হাসনাত ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
‘মামলার আসামীদের গ্রেফতারে পুলিশের অভিযান অব্যহত রয়েছে।’
প্রসঙ্গত, গতকাল শুক্রবার জুমার নামাজে পূর্ব হাগুরিয়া মসজিদের ইমাম সাহেব সরকারি নীতি অনুযায়ী ১২ জন মুসল্লি নিয়ে মসজিদের দরজা বন্ধ করে জুমার নামাজ আদায় করেন। এতে স্থানীয় যুবক শাহীনসহ আরো কয়েকজন জুমার নামাজে অংশ নিতে ব্যর্থ হয়। নামাজ শেষে শাহীন মসজিদের ইমামের উপর চড়াও হলে মুসুল্লিরা তাকে মারপিট করে। এনিয়ে গ্রামে দু’পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা সহ হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে হাজির হলে গ্রামবাসীদের একাংশ পুলিশের ওপর চড়াও হলে পুলিশ গ্রামবাসীর মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে ৪ পুলিশ সহ ৫ জন আহত হয়।