নাটোর অফিসঃ জুম্মার নামাজে মসজিদের ইমাম সরকারী নির্দেশনা মেনে নামাজ আদায় করায় ক্ষিপ্ত হয় এক যুবক ইমামের ওপর চড়াও হলে অংশ নেয়া মুসল্লী ও এলাকাবাসীর সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে নাটোর সদর উপজেলার দিঘাপতিয়া ইউনিয়নের হাগুরিয়া এলাকায়।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য পুলিশ এসে নিজেরাই হামলার শিকার হয়েছে স্থানীয়দের। আহত হয়েছেন পুলিশের এক উপ-পরিদর্শক ও নারী সদস্য সহ ৪ পুলিশ সদস্য। তারা হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
এ ঘটনায় জড়িত থাকায় নাদিমুজ্জান মৃধা নামের এক ইউপি সদস্যসহ ৯ জনকে আটক করেছে পুলিশ।
আহত পুলিশ সদস্যরা হলেন পুলিশের উপ-পরিদর্শক আনোয়ার হোসেন,পুলিশ সদস্য ফজলে রাব্বি, সেকেন্দার ও নারী পুলিশ জয়া সরকার।
ঘটনায় জড়িত প্রত্যেককে ধরতে ওই এলাকায় অভিযান শুরু করেছে পুলিশ। পাশাপাশি
পুলিশ বাদী হয়ে দায়েরেরও প্রস্ততি নিয়েছে।
আজ শুক্রবার(১লা মে) জুম্মার নামাজের পরে এ ঘটনা ঘটে।
নাটোর সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবুল হাসনাত বলেন, ‘এ ঘটনায় চারজন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। তাদের চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। হামলার ঘটনায় মামলা দায়ের প্রক্রিয়াধীন।’
জুম্মার নামাজের পর কি ঘটেছিলো তা জানান প্রত্যক্ষদর্শী কয়েকজন।
জানা যায়, জুমার নামাজে পূর্ব হাগুরিয়া মসজিদের ইমাম সাহেব সরকারি নীতি অনুযায়ী ১২ জন মুসল্লি নিয়ে মসজিদের দরজা বন্ধ করে জুমার নামাজ আদায় করেন। এতে শাহীন নামে স্থানীয় যুবকসহ আরো কয়েকজন জুমার নামাজে অংশ নিতে ব্যর্থ হয়। নামাজ শেষে শাহীন মসজিদের ইমামের উপর চড়াও হলে উপস্থিত মুসল্লিরা তাকে মারপিট করে। এ ঘটনায় শাহিন পুলিশে খবর দিলে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। তৎক্ষণাৎ উত্তেজনা থামাতে সেখানে স্থানীয় ইউপি সদস্য নাদিরুজ্জামান মৃধা ওরফে নাদিম সেখানে উপস্থিত হয়। এ সময় পুলিশের সাথে স্থানীয়রা প্রথমে তর্ক ও পরে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এলাকাবাসীর হামলা ও ইটপাটকেল নিক্ষেপে এক নারী কনস্টেবল ও উপ-পরিদর্শকসহ চার পুলিশ সদস্য আহত হয়।
এ ঘটনায় ইউপি সদস্য নাদিরুজ্জামান মৃধাসহ ৯ জনকে আটক করে পুলিশ।
বর্তমানে এলাকায় থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছ।