নাটোরের বাগাতিপাড়ায় ছেলের বিয়ে মেনে না নেয়ায় বৃদ্ধ পিতাকে পিটিয়ে আহত করেছ পাষন্ড পুত্র। আহত পিতা উপজেলার দয়ারামপুর তালতলা গ্রামের মৃত হাসান আলীর ছেলে ও প্রাক্তন শিক্ষক একেএম জহুরুল ইসলাম (৬৪)। মঙ্গলবার সকালে এ ঘটনা ঘটে।
আহত জহুরুল ইসলাম ও তার পরিবার সূত্রে জানা যায়, বড় ছেলে মিজানুর রহমান দির্ঘদিন আগে পরিবারের অমতে প্রেম করে বিয়ে করেন। সেই বিয়ে পিতাসহ পরিবারের কেউ মেনে নেননি। আর সেই বিয়ে মেনে না নেয়াই ক্ষুদ্ধ পুত্র মিজানুর রহমান বিয়ে মেনে নিতে চাপ প্রয়োগ করেন পিতাকে। তাতেও কোন কাজ না হলে গত মঙ্গলবার সকালে এগারোটার দিকে তালতলার বাড়িতে পিতার উপর চড়াও হন বড় ছেলে। ছেলের হাতে থেকে বাঁচতে পিতা জহুরুল ইসলাম প্রতিবেশি ওসমানের বাড়িতে আশ্রয় নিলে সেখানেই তাবে আক্রমণ করে পিটিয়ে আহত করেন মিজান। এতে বৃদ্ধ পিতার মাথা ও বাম হাতে আঘাত লাগে। এসময় ছোট ছেলের স্ত্রী হাবিবা খাতুন বাঁধা দিতে গেলে করলে তাকেও মারধর করে মিজান।
ছোট ছেলে মাহাবুব আলম খবর পেয়ে পিতাকে উদ্ধার করে বাগাতিপাড়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসা নিতে রাজশাহী মেডিকেল কলেজে হাসপাতালে নেয়ার পরামর্শ দেন। জহুরুল ইসলাম বর্তমানে রাজশাহী মেডিকেল কলেজে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন।
বাগাতিপাড়া মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, এব্যাপারে লিখিত কোন অভিযোগ পায়নি পেলে তদন্ত সাপেক্ষ আইনি ব্যাবস্থা নেয়া হবে।