নিজস্ব প্রতিবেদক,বড়াইগ্রাম,নাটোর॥
বাংলাদেশের বৃহত্তরবিল চলনবিল। বর্ষায় পানি আর শুকনোয় মাঠজুড়ে দোল খায় কৃষকের সোনালী সপ্ন। ধানের বাম্পার ফলনে কৃষকদের মুখে হাসি থাকলেও করোনা পরিস্থিতিতে সেই সপ্নটা ভাঙতে বসেছে। কৃষকদের কথা ও সোনালী ফসল ধান ঘরে উঠানোর জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন প্রশাসন। স্বাস্থ্য পরীক্ষা ও স্বাস্থ্য সুরক্ষা সামগ্রী দিয়ে তাদের মাঠে পাঠানো হয়েছে।
তবে শুধু স্বাস্থ্য পরীক্ষা ও স্বাস্থ্য সুরক্ষা সামগ্রী দিয়েই থেমে নেই নাটোরের গুরুদাসপুরের ইউএনও তমাল হোসেন। তার ব্যক্তিগত তহবিল থেকে ধানের জমিতে গিয়ে প্রত্যেক কৃষককে দেওয়া হচ্ছে খাবার স্যালাইন, লেবু, মুড়ি, পানির বোতল, সাবান, বিস্কুটসহ শুকনো খাবার।
বৃহস্পতিবার দুপুরে উপজেলার খুবজীপুর ইউনিয়নের চলনবিলের রুহাই মাঠে গিয়ে কৃষকদের মাঝে ওই খাবার বিতরণ করেন। এসময় সেখানে নাটোরের জেলা প্রশাসক শাহ্রিয়াজ ও কৃষি কর্মকর্তা আব্দুল করিম উপস্থিত ছিলেন।
কৃষক জামাল হোসেন ও রবিউল ইসলাসহ প্রায় ১০ জন জানান, এ বছর ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। ধান কাটার জন্য পর্যাপ্ত শ্রমিক ও রয়েছে। ছিলো না শুধু বাসস্থান এবং নিরাপত্তার ব্যবস্থা। তবে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে আমাদের সার্বিক ভাবে সহযোগিতা করছে। বাসস্থান থেকে শুরু করে স্বাস্থ্য সুরক্ষা সামগ্রী, খাবার সামগ্রী প্রদান করে আমাদের কাজে উৎসাহিত করেছে। এখন আমরা নির্বিঘ্নে ধান কেটে ঘরে তুলতে পারবো।
নাটোর জেলা প্রশাসক মোঃ শাহরিয়াজ বলেন, কৃষকদের যে কোন সমস্যা সমাধানের জন্য প্রস্তুত রয়েছে জেলা ও উপজেলা প্রশাসন। তবে গুরুদাসপুরের ইউএনও তমাল হোসেনের এই ব্যতিক্রমী উদ্যোগের ফলে কৃষকরা উৎসাহিত হবে।