নাটোর অফিস॥
করোনার কারনে লকডাউন ঘোষিত জেলাগুলো থেকে মানুষের আগমন রুখতে নাটোর জেলাকে একপ্রকার অঘোষিত লকডাউন করেছে পুলিশ। এ লক্ষ্যে নাটোর জেলার তিনটি মহাসড়কে চেকপোস্ট বসিয়ে জরুরী সেবার আওতাভুক্ত বাদে সকল যানবাহন পুশব্যাক করছে পুলিশ। এছাড়া জরুরী সেবার নামে কোনো ট্রাক, গাড়ী বা এম্বুলেন্স মানুষ পরিবহন করছে কি না, তা নিশ্চিতে কঠোরভাবে তল্লাশী চালাচ্ছে পুলিশ।
আজ শুক্রবার(১০ই এপ্রিল)দুপুর থেকে নাটোর-ঢাকা, নাটোর-পাবনা ও নাটোর-বগুড়া মহাসড়কের সীমান্ত এলাকাগুলোতে এ কার্যক্রম জোরদার করা হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জেলা পুলিশ সুপার লিটন কুমার সাহা।
সূত্র জানায়, গত তিন দিনে ঢাকা, নারায়নগঞ্জ, গাজীপুর, মাদরীপুরসহ করোনা আক্রান্ত বেশ কিছু জেলায় কর্মরত নিম্ন আয়ের মানুষজন নাটোরের বিভিন্ন এলাকায় ফিরতে শুরু করেছে। শুক্রবার সকালেও গাইবান্ধা থেকে বেশ কিছু মানুষ নলডাঙ্গার একটি গ্রামে ঢুকেছে। এর আগে ঢাকা ও নারায়নগঞ্জ ফেরত ৪৬ জন সদর উপজেলার কাফুরিয়া ইউনিয়ন এবং ১৩ জন সিংড়া উপজেলার চামারী ইউনিয়নে ঢুকেছে। এমন অবস্থায় সম্ভাব্য সংক্রমণ রোধে আগত মানুষদের কোয়ারেন্টিনে রাখার পাশাপাশি নতুন করে আগমন রোধে মহাসড়কগুলোতে চেকপোস্ট বসিয়ে ঔষধ, নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যসামগ্রী, রোগীবাহী গাড়ি, কৃষিপণ্যসহ জরুরী সেবার আওতাভুক্ত গাড়িগুলো বাদে অন্য সকল যানবাহন ফিরিয়ে দেয়া হচ্ছে।
বনপাড়া হাইওয়ে পুলিশের সার্জেন্ট রাশেদুল ইসলাম জানান, হাইওয়ে পুলিশের টহল টিম যানবাহনে মানুষ পরিবহনের ব্যপারে সবচেয়ে বেশি সতর্ক রয়েছে। এমন অবস্থায় সেসব মানুষবাহী যানবাহন পুশব্যাক করা হচ্ছে।
জেলা পুলিশ সুপার লিটন কুমার সাহা জানান, জেলায় বাইরে থেকে মানুষ আসতে শুরু করেছে। করোনার সংক্রমণ রোধে আমরা জেলার মহাসড়কের পর্যায়ের সীমান্তে চেকপোস্ট দিয়েছি যাতে বাইরের কেউ ঢুকতে আর ভেতরের কেউ বের হতে না পারে। তবে সরকার ঘোষিত আওতামুক্ত জরুরী যানবাহনগুলোকে গন্তব্যস্থলে পৌছাতে আমরা সহায়তা করছি।