নাটোর অফিস॥
নাটোরে শুরু হয়েছে সেনাবাহিনীর ভ্রাম্যমান চিকিৎসা সেবা কার্যক্রম। সামাজিক দুরুত্ব নিশ্চিত, পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম, বাজার মনিটরিংয়ের পাশাপাশি জ্বর, সর্দি, কাশিসহ বিভিন্ন রোগের ঔষধ প্রদান করছেন সেনানদস্যরা। প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলে যেখানে স্বাস্থ্যসেবা গ্রহণের সুযোগ অপ্রতুল, সেখানে এখন থেকে নিয়মিত চিকিৎসা সেবা কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।
আজ শনিবার(৪ঠা এপ্রিল) নাটোরের নলডাঙ্গা উপজেলার বাসুদেবপুর টেকনিক্যাল ইন্সটিটিউট প্রাঙ্গণে আনুষ্ঠানিকভাবে চিকিৎসা সেবা কার্যক্রম শুরু করে সেনাবাহিনীর ১৭ প্যারা পদাতিক ব্যাটালিয়নের ২১ ফিল্ড এম্বুলেন্স। লেঃ কর্ণেল তাহমিনার নেতৃত্বে এ কার্যক্রম পরিচালিত হয়।
দিনব্যপী এই কার্যক্রমে নলডাঙ্গার বিপ্রবেলঘড়িয়া ইউনিয়নের শতাধিক নারী-পুরুষ-শিশু এই চিকিৎসা সেবা গ্রহণ করে। থার্মাল স্ক্যানার দ্বারা সেবা নিতে আসা প্রত্যেকের শরীরের তাপমাত্রা পরীক্ষা করা হয়।
সেবা নিতে আসা আকলিমা বেওয়া বলেন, সেনাবাহিনীর চিকিৎসকগণ অত্যন্ত গুরুত্বের সাথে শারীরিক সমস্যার কথা শুনেছেন। তারা ঔষধও দিয়েছেন। তাদের ব্যবহারে আমি খুশি।
বিপ্রবেলঘড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান জালাল উদ্দীন বলেন, নলডাঙ্গায় কোনো হাসপাতাল নেই। চিকিৎসা সেবা নিতে জেলা সদরে ছুটতে হয় রোগীদের। বর্তমান করোনা পরিস্থিতিতে অনেকেই ঘরের বাইরে বের হচ্ছেন না। সেনাবাহিনীর সদস্যরা দোরগোড়ায় এসে সেবা দেয়ায় খুশি মানুষ।
নাটোর জেলার দায়িত্বপাপ্ত সেনাবাহিনীর কমান্ডিং অফিসার লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোস্তফা আরিফুর রহমান বলেন, আমরা তৃণমূল পর্যায়ে দায়িত্ব পালন করতে দিয়ে দেখেছি যে চিকিৎসার সুযোগ খুবই কম। তাই নাটোরের ৭টি উপজেলায় পর্যায়ক্রমে এই ভ্রাম্যমান চিকিৎসা কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে। জ্বর, সর্দি, কাশির মতো অসুখের জন্য ঔষধ প্রদানের পাশাপাশি কোনো ব্যক্তির মধ্যে করোনার উপসর্গ আছে কি-না, আমরা সেটিও পরীক্ষা করবো।