নাটোর অফিস॥
নাটোরের সিংড়া উপজেলার চামারী ইউনিয়নের বিলদহর বাজারে ব্যাপক জনসমাগম লক্ষ্য করা গেছে। সকাল থেকে জেলার সকল দোকানপাট(নিদিষ্ট কয়েকটি ব্যতিরেকে) বন্ধ রাখা হলেও নিত্যপ্রয়োজনীয় এবং জরুরি নয় এমন বেশ কিছু রড-সিমেন্টের দোকনও খোলা রয়েছে এই বাজারে। পাশ্ববর্তী গুরুদাসপুর উপজেলার সীমান্তঘেষা এই বাজারে লোকসমাগম ঠেকানোর দৃশ্যমান কোন ব্যবস্থা এখনও চোখে পড়েনি। সিংড়ার বিভিন্ন বাজারে জনসমাগম কম হলেও বিপরীত চিত্র বিলদহর বাজারে।
আজ বুধবার(২৫শে মার্চ) বিকেলে সাড়ে ৫টায় বিলদহর বাজারে জনসাধারণের যাতায়াত বেড়েছে।
বুধবার সকাল থেকেই জেলার প্রতিটি উপজেলায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর তৎপরতা লক্ষ্য করা গেছে। রাস্তায় সচেতনতা সৃষ্টির পাশাপাশি বাজারগুলোতে অপ্রয়োজনীয় জনসমাগম ঠেকাতে দায়িত্ব পালন করেছে জেলা গোয়েন্দা পুলিশও।
স্থানীয়রা বলছেন নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের দোকান বন্ধের আওতামুক্ত হওয়ার সুযোগে বাড়ি থেকে ঘুরতে বাজারে আসছেন অনেকে। যোগ দিচ্ছেন পাশ্ববর্তী গুরুদাসপুর উপজেলার মানুষও। লোক দেখানো দামাদামিও করছেন অনেকে। এতে বাহ্যিকভাবে কেনাকাটার উদ্দেশ্য মনে হলেও আসলে তা সময় যাপন করা ছাড়া আর কিছুই না। বাজারে আসতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কড়া নজরদারি থাকলে অহেতুক জনসমাগম রোধ করা যেত।
মাহিদুল ইসলাম নামের এক ব্যক্তি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিলদহর বাজারে অহেতুক জনসমাগম তুলে ধরে প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন। তিনি বলেন, করোনা আতঙ্কে সকলকে ঘরে থাকার জন্য অনুরোধ করা হলেও তা মানতে চাইছে না মানুষ।
আব্দুস সালাম নামের স্থানীয় এক শিক্ষক বলেন, অনেক মানুষ বাজারে আসছে। কিন্ত সবার বাজারে আসার উদ্দেশ্য সুনির্দষ্ট নয়।
এ বিষয়ে সিংড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাসরিন আক্তার বলেন, বিলদহর বাজারের জনসমাগমের বিষয়টি তিনি জেনেছেন। বাজারে দ্রুত পুলিশ পাঠানো হচ্ছে।
জেলা সিভিল সার্জন ডাঃ কাজী মিজানুর রহমান বলেন, করোনার বৈশিষ্টজনিত বৈচিত্র্যের কারণে মানুষকে ঘরে থাকতে বলা হয়েছে। ঘর ছেড়ে অহেতুক বাজারে যাওয়া মানে অন্যের পাশাপাশি নিজেরও ঝুঁকি বাড়ানো। তাই সকলকে অনুরোধ করবো ঘরে থাকতে।